শিশুদের পড়ায় মনোযোগ বাড়াতে এবার এক অভিনব পদ্ধতি অনুসরণ দিদিমণির
এবার শিশুদের স্কুলমুখী করতে গান,কবিতা, ও খেলার ছলে পড়াচ্ছেন দিদিমণি শিশুরা সমাজের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের মূল্যবান সম্পদ। তাদের শৈশবের আনন্দ ও নির্ভীকতা, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং অকৃত্রিম হাসি আমাদের পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তোলে।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ৩রা অক্টোবর: এবার শিশুদের স্কুলমুখী করতে গান,কবিতা ও খেলার ছলে পড়াচ্ছেন দিদিমণি। শিশুরা সমাজের ভবিষ্যৎ এবং আমাদের মূল্যবান সম্পদ। তাদের শৈশবের আনন্দ ও নির্ভীকতা, নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং অকৃত্রিম হাসি আমাদের পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তোলে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, বিশ্বের অনেক শিশুই তাদের এই মধুর সময় ব্যয় করে কঠোর পরিশ্রম করে। এমনই দেখা যায় বহু। তবে তাদেরকে সুশিক্ষা দিতে খেলার ছলে শিক্ষা দিচ্ছেন দিদিমণি।
এমনই চিত্র দেখা গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলপি গ্রামের ২৭৭ নম্বর সেন্টারের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। আর এ বিষয় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে দিদিমণি তানজিলা মোল্লা বলেন ছোটদের পড়তে বসানো নিঃসন্দেহে খুব কঠিন একটা কাজ। আসলে ছোটরা তো তাদের খেয়াল খুশিমতো চলতে পছন্দ করে।তাই পড়াশোনা করার জন্য যে নুন্যতম মনোসংযোগের প্রয়োজন হয়।সেটুকুও তাদের নেই। আর তার ওপর বাচ্চা যদি চঞ্চল হয় তাহলে তো বাবা-মায়েদের আরও বেগ পেতে হয়। তাই প্রতিদিন স্কুলের বাচ্চাদেরকে নিয়ে আমি।তাই খেলার ছলেই ছোটদের ছড়া বা কবিতা শেখায়।
নিত্যনতুন ছড়ায় শিশুর আগ্রহ জাগবে। তাঁতের শিশুদের আগ্রহ থাকে। সেই জন্য খেলা বা গানের ছলে পড়ায়। ও আমারও ভালো লাগে শিশুদেরকে এমনভাবে পড়াতে। তাই পড়াই। খেলার ছলে। আঁকা, কবিতা, গান, খেলা, ছবি, সবই খেলার ছলে শেখানো হয়। তবে এমন ভাবে পড়াতে প্রতিটি মায়েরা প্রতিদিন স্কুলে পৌঁছে দেন শিশুদেরকে স্কুলে। এ বিষয় নিয়ে স্কুলে আসা বিলকিস লস্করের নামে এক শিশু মা। সামিনা লস্কর বলেন আমাদেরকে খুবই ভালো লাগে। দিদিমণির এমন ভাবে পড়ানো। তাই প্রতিদিন শিশুকে স্কুলে সময় মতন দিয়ে যায়। যাতে না এই সুন্দর ভাবে পড়ানো মিস করে। তবে দিদিমণি এমন পোড়ানোর ধরনকে আমরা খুবই ভালোবাসি।