কৃষ্ণনগরে উদ্ধার হল এক তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ!

ফের শোনা গেল আরেক ধর্ষণ কাণ্ড। এক তরুণীকে পুলিশ সুপারের অফিসের বাইরে উদ্ধার হল তার অর্ধদগ্ধ দেহ। পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার।কয়েক পথযাত্রী ওই মেয়েটির দেহটি পড়ে থাকতে দেখেছে রাস্তায়।

কৃষ্ণনগরে উদ্ধার হল এক তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ!

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১৬ই অক্টোবর: ফের শোনা গেল আরেক ধর্ষণ কাণ্ড। এক তরুণীকে পুলিশ সুপারের অফিসের বাইরে উদ্ধার হল তার অর্ধদগ্ধ দেহ। পুলিশ সুপারের অফিসের অদূরে তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার।কয়েক পথযাত্রী ওই মেয়েটির দেহটি পড়ে থাকতে দেখেছে রাস্তায়।প্রথমে তাকে দেখে মনে হয়, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তাঁর দেহ থেকে প্রমাণ সরাতে তার গায়ে এসিড ঢেলে তাকে জালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মেয়েটি এই এলাকার নাকি অন্য এলাকায় খুন করে তার দেহ এইখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে তা এখনো ধরা যাচ্ছে না। এবং কৃষ্ণনগর রামকৃষ্ণপাড়ায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

এক মহিলা দর্শনার্থী বলেন যে, বাড়িতে লক্ষ্মীপূজো হওয়ায় কাজ করছিলেন তিনি। এবং সেই সময় কয়েকজন পথযাত্রী মেয়েটির দেহ দেখতে পায়। তবে মেয়েটির দেহ যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে ৫০০ মিটার দূরত্বে ছিল পুলিশ সুপারের অফিস। আবার এটি দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া এলাকা। ফলস্বরূপ হইচই পড়ে যায় ওই এলাকায়। তার পরই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এবং দেখেন এক তরুণী তার মুখ পুড়ে গিয়েছে এবং সে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুলিশ আন্দাজ মেয়েটি ২০-২১ বছর বয়সি হবে। তার পরনের বস্ত্র কিছুটা ছিড়ে গিয়েছে আবার কিছুটা পড়ে গিয়েছে। দেহ উদ্ধারের সময় পোশাক অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল। মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার ফলে কিছুই চেনা যাচ্ছে না।

তরুণীর পরিচয় জানা বেশ দুষ্কর। ওই তরুণী এলাকার নাকি বহিরাগত, সে সংক্রান্ত তথ্য জোগাড় করতেও তদন্তকারীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নচিহ্নের মুখে এলাকার নিরাপত্তা। কৃষ্ণনগরের কোতয়ালি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলেই কীভাবে হত্যা, সে বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার সঞ্জয় মিতকুমার মাকোয়ান বলেন, "ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে দেহ উদ্ধার করেছে। তবে এখনও দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।"