মাত্র কয়েক ঘন্টার আলাপে সাহায্যের নামে ধর্ষণ এক তরুণীকে!
বর্ধমান স্টেশনে এক যুবক সহায়তার নাম করে মেয়েটিকে তার এক আত্মীয় বাড়ি নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে এমনটাই অভিযোগ এসেছে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ ওই মেয়েটির মায়ের অভিযোগে ভিত্তিতে ওই যুবকটিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম প্রদীপ জর। তার বাড়ি কালনা থানার আনুখাল এলাকায়।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১লা অক্টোবর:বর্ধমান স্টেশনে এক যুবক সহায়তার নাম করে মেয়েটিকে তার এক আত্মীয় বাড়ি নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে এমনটাই অভিযোগ এসেছে। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার পুলিশ ওই মেয়েটির মায়ের অভিযোগে ভিত্তিতে ওই যুবকটিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম প্রদীপ জর। তার বাড়ি কালনা থানার আনুখাল এলাকায়। সোমবার ভোরে মেমারির দেবীপুরে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে প্রদীপকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছেলেটিকে এদিনই বর্তমানে আদালতে পেশ করা হয়েছে। এবং বিচারক ৫ দিনের জন্য পুলিশে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। গত শনিবার থেকে ওই তরুণী নিখোঁজ ছিলেন। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ওই তরুণী। তাঁর পরিবারের তরফে কলকাতার একবালপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মেয়েটি এক যুবকের সাথে কয়েকমাস আগে থেকে বিয়ের কথাবার্তা হয়েছিল। তাদের একে অপরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে পাত্রপক্ষ বিয়ের জন্য রাজি হয়নি। কিন্তু তার সত্ত্বেও ওই মেয়েটির সঙ্গে যুবকদের যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করত। তবে শনিবার বাড়ি থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের তরফে পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ওই তরুণী হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে বর্ধমানে চলে আসে। ইচ্ছা ছিল সেই পাত্রের সঙ্গে দেখা করা। কিন্তু কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। পথচলতি অনেকের কাছ থেকেই মোবাইল নিয়ে ওই যুবককের মোবাইলে ফোন করে ছিলেন ওই তরুণী। কিন্তু তরুণীর গলার আওয়াজ পেলেই ফোন কেটে দেন ওই যুবক।
এরপরই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি সামনে আসে। বর্ধমান স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়ার পর প্রদীপ প্রথমে কিছুটা ভালো ব্যবহার করলেও ওইদিন দুপুরের পর তার পাশবিক আচরণ প্রকাশ পায়। তরুণী তার মাকে সব জানায়। ওইদিন দুপুরে প্রদীপ পর পর দুবার ধর্ষণ করে বলে জানায় তরুণী। এর পর তরুণীর মা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ প্রদীপকে গ্রেপ্তার করেন। প্রদীপ পেশায় কালনার একটি বেসরকারি কারখানার কর্মী। বর্ধমান সদর দক্ষিণের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অভিষেক মণ্ডল জানান, অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে। তরুণীর মেডিক্যাল টেস্ট করানো সহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া করানোর পরে পরিবারের সঙ্গে তাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।