জল্পনাই হল সত্যি! এই তারিখে পদত্যাগ করছেন জহর
আগামী ১২ তারিখ পদত্যাগ করতে পারেন জহর সরকার। ইতিমধ্যেই জহর সরকারের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বর কথা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, সংসদীয় পরিচালনা ব্যবস্থা সম্পর্কেও কথা হয়েছে। সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরছেন না জহর সরকার ।
আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, ৯ সেপ্টেম্বর: আগামী ১২ তারিখ পদত্যাগ করতে পারেন জহর সরকার(Jahar sarkar)। ইতিমধ্যেই জহর সরকারের সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বর কথা হয়েছে বলে সূত্রে খবর। শুধু তাই নয়, সংসদীয় পরিচালনা ব্যবস্থা সম্পর্কেও কথা হয়েছে। সঙ্গে এও জানা যাচ্ছে, নিজের সিদ্ধান্ত থেকে জহর সরকার সরছেন না। আরজি কর-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে সুখেন্দু শেখর রায়, শান্তনু সেনদের মতো দলের নেতাদের নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তিতে ছিল তৃণমূল।
এবার রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে শাসক দলের অস্বস্তি নিঃসন্দেহে আর কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন জহর সরকার। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(chief minister)চিঠিও দিয়েছেন তিনি। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সুর চড়িয়ে এর আগেই দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কিন্তু এই প্রথম শাসকদলের কোনও সাংসদ ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।
চিঠিতে আরজি কর (RG kar)কাণ্ডের প্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata Banerjee)আর আগের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই। তাই যদি থাকতেন, তাহলে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করতেন। শুধু তাই নয়, তৃণমূল আমলে একের পর এক দুর্নীতি, কাটমানি, শিক্ষা-স্বাস্থ্যে দুর্নীতি, সিন্ডিকেট রাজ নিয়েও তিনি সরব হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন জহর সরকার। তাঁর করা মন্তব্য ঘিরে গোটা দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেই সময় তৃণমূলের তরফ থেকে অবশ্য অধুনা ‘বিক্ষুব্ধ’ সুখেন্দু শেখর রায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জহর সরকারকে ‘সমঝে’ দেওয়ার। সেই সময় জহর সরকারকে স্পষ্ট বলে হয়েছিল, দলের মধ্যে থেকে দলীয় অবস্থানেই আস্থা রাখতে হবে। নাহলে সম্মানজনক বিদায় নিয়ে তিনি দলও ছাড়তে পারেন প্রয়োজন। সেই বিদায় অবশেষে এল আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে।
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, ‘আমি গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরনো মমতা ব্যানার্জির মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যে সব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এককথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’ তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত আসেনি।