আগামী শনিবার আর জি করে গণ কনভেনশনের ডাক! দাবি আদায়ে আমরণ অনশন
কয়েকদিন আগে ঘটে গেছে আরজি করে এক তরুণীর ভয়াবহ ধর্ষণও খুন। তাঁর সুবিচারের জন্য মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অনশনে রয়েছে। এবং তারা চাইছেন যাতে মেডিক্যালে সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসুক। বিগত কয়েকদিন টানা ধরনা, আন্দোলন, অনশনও জাস্টিস চাওয়ার চলছিল।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ২২অক্টোবর: কয়েকদিন আগে ঘটে গেছে আরজি করে এক তরুণীর ভয়াবহ ধর্ষণও খুন। তাঁর সুবিচারের জন্য মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা অনশনে রয়েছে। এবং তারা চাইছেন যাতে মেডিক্যালে সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসুক। বিগত কয়েকদিন টানা ধরনা, আন্দোলন, অনশনও জাস্টিস চাওয়ার চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপে জট কেটে গেছে। এখন জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন প্রত্যাহার করেছেন। এই অনশন প্রত্যাহারের কারণে তারা বলেছেন, শুধুমাত্র অভয়ার বাবা-মার কথায় এমন সিদ্ধান্ত , সরকারের কথায় নয়। তারা পাশাপাশি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছে।শনিবার আর জি করে গণ কনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে। ৯ আগস্ট থেকে ২১ অক্টোবর, একনজরে দেখে নিন আর জি কর করের ইতিবৃত্ত।
৯ আগস্ট- আর জি করের সেমিনার উদ্ধার তরুণী চিকিৎসদের দেহ। ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ। ওইদিনই গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। এর পরই শাস্তির দাবি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলন শুরু জুনিয়র ডাক্তারদের। পরবর্তীতে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত।
১১ আগস্ট- লাগাতার চাপের মুখে অপসারিত আর জি করের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ।
১৩ আগস্ট- পুলিশের হাত থেকে নিয়ে তদন্তভার সিবিআই-কে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।
১৪ আগস্ট- দফায় দফায় নাটকের পর অবশেষে পদত্যাগ অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের। ওইদিনই রাত দখল কর্মসূচির মাঝে আর জি করে তাণ্ডব।
১৮ আগস্ট- আর জি কর কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা সুপ্রিম কোর্টের।
২ সেপ্টেম্বর- ১৫ দিন জেরার পর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার সন্দীপ। লালবাজার অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের।
১০ সেপ্টেম্বর- স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণের দাবিতে স্বাস্থ্যভবন অভিযান। বাধা পেয়ে ধরনায় জুনিয়র ডাক্তাররা।
১৪ সেপ্টেম্বর- স্বাস্থ্যভবনের সামনে ধরনামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের আহ্বান। রাতেই জুনিয়র ডাক্তাররা কালীঘাট গেলেও হয়নি বৈঠক। ডাক্তার মৃত্যুতে গ্রেপ্তার সন্দীপ ও টালা থানার ওসি-সহ বেশ কয়েকজন।
১৬ সেপ্টেম্বর- মুখ্যমন্ত্রী-জুনিয়র ডাক্তার বৈঠক। সিপি-সহ ২ জনকে অপসারণের সিদ্ধান্ত।
১৯ সেপ্টেম্বর- স্বাস্থ্যভবনের সামনের ধরনা প্রত্যাহার। কর্মবিরতি তুলে জরুরি পরিষেবায় যোগ।
২৯ সেপ্টেম্বর- সাগর দত্তে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফের কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা।
৫ অক্টোবর- দাবি পূরণ না হওয়ায় অনশনে ৬ জুনিয়র ডাক্তার। পরবর্তীত বাড়ে সংখ্যা। অসুস্থ হন কয়েকজন।
১৫ অক্টোবর- দ্রোহ কার্নিভালের আয়োজন।
১৯ অক্টোবর- অনশন মঞ্চে মুখ্যসচিব। ফোনে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
২১ অক্টোবর- টানা ২ ঘণ্টা জুনিয়র ডাক্তার-মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক। অনশন প্রত্যাহার। চলবে আন্দোলন। আগামী শনিবার গণ কনভেনশনের ডাক।