COVID-19 Vaccine: কোভিড টিকা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার

বিশ্বব্যাপী কোভিড টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অর্থাৎ বাজারে আর পাওয়া যাবে না অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা। বিবৃতি জারি করে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন আর তৈরি করা হচ্ছে না, এর সাপ্লাই আর হবে না।

COVID-19 Vaccine: কোভিড টিকা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকার

বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকার রিপোর্টে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে যে তাদের সংস্থার তৈরি করোনা টিকা নেওয়ার পরে বেশ কিছু বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম নামক এক ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে, যাতে শরীরে রক্ত তঞ্চন বা রক্ত জমাট বেঁধে যাচ্ছে। এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অতি ভয়ঙ্কর, এর জেরে হার্ট অ্যাটাক অবধি হতে পারে, মানুষের প্রাণও যেতে পারে।

বিশ্বব্যাপী কোভিড টিকা তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। অর্থাৎ বাজারে আর পাওয়া যাবে না অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা। বিবৃতি জারি করে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন আর তৈরি করা হচ্ছে না, এর সাপ্লাই  আর হবে না। যার মধ্যে রয়েছে ভারতীয়দের নেওয়া কোভিশিল্ডও। অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca) সংস্থার তৈরি কোভিশিল্ড যারা নিয়েছিলেন, এই খবর জানার পর উড়ে গেছে তাঁদের রাতের ঘুম। যদিও, সংস্থার দাবি, বাণিজ্যিক কারণেই ভ্যাকসিন প্রত্য়াহার করে নেওয়া হচ্ছে, এর সঙ্গে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, করোনার ভ্যাকসিন আর তৈরি করা হচ্ছে না। এর সাপ্লাই বা বন্টনও করা হচ্ছে না। বাণিজ্যিক কারণেই সংস্থা সমস্ত দেশ থেকে করোনা টিকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
যদিও ভ্যাকসিনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সঙ্গে বাজার থেকে ভ্যাকসিন তুলে নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবি করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। তাদের কথায়, এটি সম্পূর্ণভাবেই ‘কাকতালীয় ঘটনা’।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটেন ও অন্যান্য দেশেও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ করা হয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাক্সজ়েভরিয়া ভ্যাকসিন প্রয়োগে শরীরে রক্ত জমাট বাধা ও প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়ার মতো ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। ব্রিটেনে কমপক্ষে ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে এই উপসর্গ নিয়ে।