Air India Express: বাতিল হলো ৮৬টি উড়ান! ঘোর সঙ্কটে এয়ার ইন্ডিয়া
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের (Air India Express) ৮৬টিরও বেশি আন্তর্জাতিক এবং অন্তর্দেশীয় উড়ান বাতিল! কিন্তু কেন? কারণটা নেহাতই অদ্ভুত।
আচমকাই অসুস্থতার কারণে গণ ছুটিতে সবাই। বিমান চালাবে কে? চরম সঙ্কটের মুখে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের (Air India Express) ৮৬টিরও বেশি আন্তর্জাতিক এবং অন্তর্দেশীয় উড়ান বাতিল! কিন্তু কেন? কারণটা নেহাতই অদ্ভুত। কেননা একসঙ্গে অসুস্থতার কারণে আচমকাই ছুটি নিয়েছেন সংস্থার বহু কর্মী। শুধুমাত্র সেই কারণেই পরিষেবায় এমন বিঘ্ন। যাকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, হঠাৎই প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রিউ ছুটি নিয়েছেন। সকলেই 'সিক লিভ' নিয়েছেন। সবাই নিজেদের মোবাইল ফোনও বন্ধ করে দিয়েছেন। এর জেরে উড়ান পরিচালনায় ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বাধ্য হয়েই ৮৬টি বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্দেশীয় বিমান যেমন রয়েছে, তেমন আন্তর্জাতিক বিমানও বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এই এয়ারলাইনের কর্মীরা নতুন এমপ্লয়মেন্ট টার্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। প্রতিবাদ দেখাতেই তাঁরা শেষ মুহূর্তে “সিক লিভ” নিয়েছেন। কাজে আসতে পারবেন না, এ কথা জানানোর পরেই তারা নিজেদের ফোন সুইচ অফ করে দিয়েছেন। হঠাৎ সবাই ছুটিতে চলে যাওয়ার কারণে গতকাল রাত থেকেই বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এয়ার ইন্ডিয়ার মুখপাত্র সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং জানিয়েছেন, শেষ মুহূর্তে এভাবে এতজন কর্মী অনুপস্থিত হয়ে পড়ায় আর পরিস্থিতি সামলানো যায়নি। কিন্তু অতিথিরা এর পরও নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকেই নিজেদের টিকিটের টাকা পুরো ফেরত চেয়েছেন। কোনও অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই অন্য বিমানের টিকিটের বন্দোবস্ত করে দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়েছে। বিমান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত বিমান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, তার সমস্ত যাত্রীদের টিকিটের দাম রিফান্ড করে দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে টাটা গ্রুপের অধীনস্থ ভিস্তারা এয়ারলাইন্সেও একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পাইলটরা বিমান ওড়াতে অস্বীকার করেছিলেন। গত মাসে এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) এক্সপ্রেস কেবিন ক্রুদের একটি অংশের প্রতিনিধিত্বকারী এক ইউনিয়ন অভিযোগ করে, বিমান সংস্থাটিতে চূড়ান্ত অব্যবস্থাপনা রয়েছে। এবং কর্মীদের সঙ্গে আচরণেও সমতার অভাব রয়েছে। ফলে কর্মীদের মনোবল প্রভাবিত হয়েছে। বিতর্ক যে কতদূর এগিয়েছে তা এদিনের ঘটনা থেকেই পরিষ্কার, মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।