ইনস্টাগ্রাম থেকে প্রেমের গল্প শুরু, তারপর দিল্লির মন্দিরে বিয়ে, বিহারে আসতেই থানার মুখোমুখি তরুণী!
একটি চমকপ্রদ ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বিহারের নালন্দায়। এই গল্পটা একটু অন্য ধরনের। প্রথমে instagram থেকে বন্ধুত্ব, তারপরে শুরু হয় প্রেমের কাহিনী, এরপর সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন! ইনস্টাগ্রামে শেখপুরার এক যুবকের সঙ্গে দেখা হয় হারনাউতের এক তরুণীর।
আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 23 অক্টোবর: একটি চমকপ্রদ ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে বিহারের নালন্দায়। এই গল্পটা একটু অন্য ধরনের। প্রথমে instagram থেকে বন্ধুত্ব, তারপরে শুরু হয় প্রেমের কাহিনী, এরপর সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন! ইনস্টাগ্রামে শেখপুরার এক যুবকের সঙ্গে দেখা হয় হারনাউতের এক তরুণীর। পাঁচ মাস ধরে চলা অনলাইন কথোপকথন প্রেমে পরিণত হয় এবং দুজনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের দুই দিন পর ওই যুবক মেয়েটিকে বারবিঘা বাজারে রেখে অজুহাত দেখিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ওই নির্যাতিতা তরুণী হরনৌত থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। ওই ভুক্তভোগী মেয়েটি মঙ্গলবার হারনাউত থানায় পৌঁছে তার আসল কাহিনী জানায়। তরুণী জানান, গত পাঁচ মাস ধরে ওই যুবকের সঙ্গে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে কথা বলছিলেন তিনি। এক সময় দুজনেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। এরপর ওই যুবক তাকে শেখপুরার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেও শেষমেষ তরুণীকে বারবিঘা বাজারে ফেলে পালিয়ে যায়।
দিল্লির মন্দিরে বিয়ে, তারপর ট্রেনে ফেরেন বিহারে
মেয়েটি আরও জানান, রবিবার দিল্লির একটি মন্দিরে তাদের দুজনের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর দুজনেই ট্রেনে করে বিহার শরীফে ফিরে আসেন। কিন্তু মঙ্গলবার কোনো এক অজুহাতে ওই যুবক তাকে বারবিঘায় নিয়ে গেলে, সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। তরুণী বলেন, 'আমরা গত পাঁচ মাস ধরে ইনস্টাগ্রামে কথা বলেছি এবং কথা বলতে বলতে একসময় দুজনেই প্রেমে পড়েছিলাম।'
মামলা নথিভুক্ত করে শুরু হয়েছে তদন্ত
হারনৌত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু তালিব আনসারি জানান, 'মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে, গ্রামের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। যুবকের খোঁজ করা হচ্ছে, তারা দুজনেই দিল্লি থেকে পালিয়ে এখানে এসেছেন। এরপর তরুণীকে এখানে রেখে পালিয়ে যায় ওই যুবক। ঘটনার তদন্ত চলছে। মেয়েটির পরিবার শীঘ্রই আসবে।'