৬০ বছরের এক বৃদ্ধাকে যৌন নির্যাতন! আচমকাই পুকুরমালিক চলে যাওয়ায় ধরা পড়ে যায় ২ গুণধর

ওই বৃদ্ধা ভাইফোঁটা দিতে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে মাঝেরাস্তায় দুই যুবক পথ আটকায়। এবং ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে নির্জন পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে পাশবিক আচরণ করে।

৬০ বছরের এক বৃদ্ধাকে যৌন নির্যাতন! আচমকাই পুকুরমালিক চলে যাওয়ায় ধরা পড়ে যায় ২ গুণধর

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৪ নভেম্বর: ওই বৃদ্ধা ভাইফোঁটা দিতে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে মাঝেরাস্তায় দুই যুবক পথ আটকায়। এবং ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে নির্জন পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ৫০০ বি আচরণ করে। ওই যুবকদের বয়স পঁচিশ বছর। পুকুর মালিক চলে আসায় আচমকাই ওই দুইজন ধরা পড়ে যায়। এবং তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। নৃশংস এই ঘটনার সাক্ষী পূর্ব বর্ধমানের মেমারি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই বৃদ্ধা রবিবার দিন খুব ভোরবেলায় ভাইফোঁটা দিতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তাড়াতাড়ি ফোঁটা দিয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে সকাল সকাল যাচ্ছিলেন। তাই তিনি ভোর বেলায় রওনা দিয়েছিলেন। বৃদ্ধা তার ভাইয়ের বাড়ি হতে যাচ্ছে। সেই সময় পুকুর পাড়ে বসে দুজন যুবক বসে নেশা করছিল। ওই বৃদ্ধাকে একা যেতে দেখে আটকায় তারা। এবং বৃদ্ধাকে বারবার জিজ্ঞাসা করছিল কোথায় যাচ্ছ, কেন যাচ্ছ, একা কেন বেরিয়েছ এইসব প্রশ্ন করতে থাকে। এবং ওই বৃদ্ধাকে জোর করে টানতে টানতে পুকুর ঘাটের একটি ঘরে টেনে নিয়ে যায়। এবং দুজনে মিলে দরজা বন্ধ করে যৌন নির্যাতন শুরু করে। এদিকে, আচমকাই সেখানে চলে আসেন ওই পুকুরের মালিক। ঘরের ভিতর থেকে আওয়াজ পেয়ে তিনি ছুটে যান। দরজা খুলে অবাক হয়ে যান। দেখেন হাবা ওই বৃদ্ধাকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। তিনি হাবার চুলের মুঠি ধরে টেনে তোলেন। চেপে ধরে থাকেন। সেই সুযোগে অর্ঘ্য পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে যায়। হাবাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। মেমারি থানার পুলিশ আটক করে তাকে। মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে, অর্ঘ্য গ্রামে গিয়ে ভালো জামাকাপড় পরে পালানোর চেষ্টা করছিল। সেই সময় গ্রামবাসীরা তাকেও ধরে ফেলে। তাকেও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতা মহিলা ওই দুইজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের একটি দল মেমারি থানার ওসি দেবাশিস নাগকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে। পুকুর পাড়ের ঘরটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, হাবা পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি। দিনভর নেশায় ডুবে থাকে। অর্ঘ্য মজুরের কাজ করে। কয়েকমাস জেলও খেটেছে। বিবাহিত অর্ঘ্যর চরিত্র ভালো নয় বলেই খবর। যার জেরে স্ত্রী, ছেলেকে নিয়ে তাঁর‌ বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন।