সিবিআইয়ের নজরে এবার ৬ ডাক্তার! আর জি করের দুর্নীতিতে রাজ্যকে নাম দিতে পারে সিবিআই
আমরা সবাই আর জি করের সেই মর্মান্তিক ঘটনাটি। তাই সিবিআইয়ের নজরে অন্তত ৬ চিকিৎসের কথা উঠে আসে। রাজ্য সরকার ওই চিকিৎসকদের নাম সিবিআইয়ের কাছে জানাতেও পারে। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে আর কি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কে গ্রেপ্তার করা হয়েছেন।
আজ এখন ডেস্ক,দেবপ্রিয়া কর্মকার, ১৮ই অক্টোবর: আমরা সবাই আর জি করের সেই মর্মান্তিক ঘটনাটি। তাই সিবিআইয়ের নজরে অন্তত ৬ চিকিৎসের কথা উঠে আসে। রাজ্য সরকার ওই চিকিৎসকদের নাম সিবিআইয়ের কাছে জানাতেও পারে। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইতিমধ্যে আর কি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কে গ্রেপ্তার করা হয়েছেন। তার ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক আশীস পান্ডেকেও সিবিআই গ্রেফতার করে। এ ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন সন্দীপের ঘনিষ্ঠ দুই ঠিকাদার ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। তবে এই দুর্নীতি মামলায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে সিবিআই।
গত ত্রিশে সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আরজিকর হাসপাতালে ওই মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের পক্ষের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী আবেদন জানিয়ে বলেছেন, কোনও ব্যক্তি জুনিয়র ডাক্তার, হাউস স্টাফ অথবা নার্সকে হুমকি অথবা হেনস্তা করেছেন, এমন কোনও তথ্য সিবিআইয়ের কাছে এলে সেই তথ্য সিবিআই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আদান-প্রদান করতে পারে। রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে আইন মেনেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। ফলে প্রাথমিকভাবে সিবিআই আধিকারিকরা চান, তাঁদের স্ক্যানারে আর জি কর হাসপাতালের যে চিকিৎসক ও আধিকারিকরা রয়েছেন, তাঁদের নাম রাজ্য সরকারকে জানাতে। সম্প্রতি স্বাস্থ্যকর্তাকে দেওয়া চিঠিতে সিবিআই জানায় যে, তাদের কাছে আর জি করের কোনও চিকিৎসক বা আধিকারিকের দুর্নীতির ব্যাপারে তথ্য এলে, তা রাজ্য সরকারকে জানানো হবে। রাজ্য সরকারই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক, এমনই দাবি সিবিআইয়ের। ক্রমে তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারে।
সিরিয়ার সূত্র খবর, সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ আর কি করের একজন প্রাপ্ত কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে। সিবিআই তাকে তলব করে জেরাও করেছিলেন। আরো দুজন প্রবীণ চিকিৎসকের নাম উঠেছে সিরিয়ায়ের তদন্তে। এবং তারা সবাই সন্দীপ ঘোষেরই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও হাউস স্টাফ নিয়োগ থেকে শুরু করে বর্জ্য পাচার, হাসপাতালের বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয়ের ক্ষেত্রে দুর্নীতির যোগ থাকতে পারেন। এ ছাড়াও আরও তিনজন চিকিৎসক, যাঁরা সন্দীপ ঘোষের হয়ে বিভিন্ন খাতে টাকা তুলতেন বলে অভিযোগ, তাঁরাও রয়েছেন সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। সিবিআইয়ের দাবি, তাঁরা কীভাবে আর জি করের কোভিড তহবিল থেকে বিপুল টাকা হস্তগত করেছেন, সেই তথ্য আধিকারিকদের কাছে এসেছে। তাঁদের কার্যকলাপ ওদুর্নীতিতে ভূমিকার ব্যাপারে সিবিআই নজরদারি চালাচ্ছে। তাঁদের ভূমিকার ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে তথ্য জানানো হতে পারে বলে জানিয়েছে সিবিআই।