১৯৮ তম শকুন্তলা সাহিত্য আসরের মাসান্তিক আসরের প্রতিবেদন

১৯৮ তম শকুন্তলা সাহিত্য আসরের মাসান্তিক আসরের প্রতিবেদন

"বৈশাখ এসেছ তুমি ধরার উষর ভূমি কাঁপাইয়া দৃপ্ত পদচাপে। কঠিন আঘাতে তার ধরণীর সিংহদ্বার থত্থরিয়া থত্থরিয়া কাঁপে।।"

প্রচণ্ড দাবদাহে কলকাতার বুকে যখন তাপমান যন্ত্র নির্দেশ করছে ৪২ ডিগ্রি, যখন তাপপ্রবাহের আঘাতে সর্ব অঙ্গ, সব চেতনা শিথিল হয়ে আসছে তখন কিছু সাহিত্যপাগল ব্যক্তি সেই আঘাতকে উপেক্ষা করে বেরিয়ে এসে শনিবার ২৭ এপ্রিলের প্রাকসন্ধ্যায় মিলিত হল সংস্থার নিজস্ব সভাঘরে মাসান্তিক অধিবেশনের অমোঘ আকর্ষণে। 
আসরে সভাপতি ছিলেন যতীন্দ্রনাথ সরকার। সঞ্চালনা করলেন বিশ্বনাথ চৌধুরী। সুধাজিত চক্রবর্তীর উদ্বোধনী সঙ্গীত দিয়ে শুরু হল আসরের কাজ। তারপর উৎসাহী সভ্য সভ্যাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আসর হয়ে উঠল উচ্ছল ও প্রাণবন্ত। গান গেয়ে শোনালেন তৃপ্তি চৌধুরী ও অমিত ঘোষ। নৃত্য পরিবেশন করলেন শিবানী চক্রবর্তী ও নীতিকা চক্রবর্তী। আবৃত্তি শোনালেন অম্লান সেনগুপ্ত, বালিকা শিল্পী অর্পয়িত্রী নস্কর, অজয় সাহা, শান্তনু মিত্র, সন্দীপা মুখার্জি, সঞ্জয় মজুমদার, সুতপা চক্রবর্তী ও রীতা কুণ্ডু। স্বরচিত কবিতা শোনালেন যতীন্দ্রনাথ সরকার, অঞ্জনা সাহা, বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য, বিশ্বনাথ চৌধুরী, সঙ্ঘমিত্রা কর, শিপ্রা মাইতি, রত্না দত্ত ও তরুণ কবি সায়নকুমার মাল। স্বভাবসিদ্ধ কৌতুককার সুকল্যাণ মজুমদার তাঁর সাবলীল ঢঙে কৌতুক পরিবেশন করে আসরের সকলকে ভাসিয়ে দিলেন হাসির এক অনাবিল স্রোতধারায়। অণুগল্প পাঠ করে শোনালেন সুমনা চট্টোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখলেন কৃষ্ণা রায়। নিবন্ধের মাধ্যমে ঝাড়গ্রামে আপন জন্মভূমিতে ছেড়ে আসা পুরাতন বাল্যস্মৃতি রোমন্থন করলেন হিমাংশু মাইতি। পিনাকীশঙ্কর চৌধুরী কিছু সাহিত্যিক আলোচনা করলেন, যেটা শেষ হল সকলের সম্মিলিত ভাবে যোগীন্দ্র নাথ সরকারের সেই অবিস্মরণীয় ছড়া "অ-এ অজগর আসছে তেড়ে - - -, " - র স্বতঃস্ফূর্ত আবৃত্তি দিয়ে।