পার্টি কংগ্রেসের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত! কমিটি ফেরানোর দাবিতে এবার সিপিএম

সিপিএম পাঁচ বছর আগে প্লেনামের মাধ্যমে রদবদল হয়েছিল সংগঠনে। তবে আঞ্চলিক কমিটির এতে করে অবলুপ্তি ঘটেছিল। এবং পরবর্তীকালে এরিয়া কমিউনি, ইউনিট কমিটি, পরে জেলা কমিউনিটি গঠিত হয়।

পার্টি কংগ্রেসের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত! কমিটি ফেরানোর দাবিতে এবার সিপিএম

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৪ নভেম্বর: সিপিএম পাঁচ বছর আগে প্লেনামের মাধ্যমে রদবদল হয়েছিল সংগঠনে। তবে আঞ্চলিক কমিটির এতে করে অবলুপ্তি ঘটেছিল। এবং পরবর্তীকালে এরিয়া কমিউনি, ইউনিট কমিটি, পরে জেলা কমিউনিটি গঠিত হয়। তাতে করে কমিউনিটির সদস্যদের প্রোফাইলে অনেক হেরফের হয়। এরিয়া কমিটির পরই সরাসরি জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। তারুণ্যকে পক্ককেশ কমরেডদের সংখ্যা কমিয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর ঠিক তেমনভাবেই ভোটের মেয়াদও নামানো হয়েছিল তরুণদের। কিন্তু তাতে করেও ভোট ব্যাংক ফেরেনি। ঠিক এই কারণেই দলের একাধিক মানুষের নিষ্ক্রিয়তা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তা কাটাতে কয়েকটি জেলার প্রস্তাব, জোনাল কমিটি ফেরানো হোক সিপিএমে। তবে দাবি উঠলেও তো তা হয় না। আগামী পার্টি কংগ্রেসে সম্মতি মিললে তবেই তা সম্ভব। এখন তা নিয়ে আলোচনা চলছে দলের অন্দরে।

সিপিএম যেমন জটিল এবং শক্তপোক্ত। আর দলীয় গণতন্ত্র বরাবরই তেমনি। তবে সেখানে ক্ষমতার বিন্যাস অন্যরকম। তবে কোন কমিটির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বেশ কয়েকটি ধাপ পেরতে হয়। এইসব করতে গিয়েই জোনাল কমিটি পাঁচ বছর আগে তলিয়ে যায়। তার বদলে নবীন-প্রবীণের সমন্বয় করে এরিয়া কমিটি ও জেলা কমিটির পুনর্গঠন করা হয়। জোনাল কমিটির সদস্যদের সকলকে অবশ্য তাতে অন্তর্ভূক্ত করা যায়নি। দলের একাংশের দাবি, এতদিন ধরে দায়িত্ব সামলানোর পর তাঁরা পদ হারিয়ে কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। ভোটের 'শূন্য' ঝুলি এবারও না ভরাতে পারার পিছনে এই বিষয়টিকে দায়ী করা হচ্ছে।

একাধিক জেলা কমিটির প্রস্তাব, ফিরিয়ে আনা হোক জোনাল কমিটি। তাহলে দলের বড় অংশকে সক্রিয় করে তোলা যাবে। মূলত গ্রামীণ রাজনীতি, সংগঠনের কথা ভেবেই এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাও হয়েছে আলিমুদ্দিনের অন্দরে। কিন্তু সিপিএমের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দাবি উঠলেই তাতে সিলমোহর দিয়ে কার্যকর করা যায় না। সর্বোচ্চ কমিটি তা অনুমোদন করলে তবেই সম্ভব। সেক্ষেত্রে কোনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে ভোটাভুটিও হতে পারে। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে তামিলনাড়ুতে পার্টি কংগ্রেস। সেখানে এই প্রস্তাব তুলে ধরা হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জোনাল কমিটি ফিরবে কিনা। তার পরও অবশ্য প্রশ্ন থাকছে। জোনাল কমিটির হাত ধরে কি আদৌ শূন্যের খরা কাটবে?