প্রেমিকের মা ও দাদাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ কাকার!
আগা গোড়াই ভাইঝির প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি ছিল কাকার। তরুণীর প্রেমিকের মা ও দাদাকে রাগে কোপালো। এই ঘটনায় গুরুতর অভাবে জখম হয়েছে শিবা সাধুখাঁ ও মিঠু সাধুখাঁ। আপনারা দুজনেই এখন শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয় কর্মকার, ১৪ ই অক্টোবর: আগা গোড়াই ভাইঝির প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি ছিল কাকার। তরুণীর প্রেমিকের মা ও দাদাকে রাগে কোপালো। এই ঘটনায় গুরুতর অভাবে জখম হয়েছে শিবা সাধুখাঁ ও মিঠু সাধুখাঁ। আপনারা দুজনেই এখন শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি। নদীয়ার ভীমপুর থানা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। তবে তার কাকা এবং ছেলে দুজনই পালিয়েছে বলেই জানা গেছে।শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আহতর পরিবার থেকে জানিয়েছে, রবিরার রাতে টোটো করে মিঠু ও তাঁর বড় ছেলে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছিলেন। এবং সেই সময় থেকে নামিয়ে উল্টোপাল্টা ভাবে কোপাতে থাকেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর তাঁদের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।বর্তমানে আহত দু'জন শক্তিনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আহত মিঠু সাধুখাঁ বলেন, "প্রতিবেশী এক মেয়ের সাথে আমার ছোট ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কটা তাদের বাবা-মা মেনে নিলেও, পরবর্তীকালে ওই মেয়ের কাকা ও তার ছেলে তা মানতে নারাজ। এদিন বড় ছেলেকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সময় আমাদের টোটো থেকে নামিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে ওরা।" আহত শিবার কাকা সুদেব সাধুখাঁ বলেন, "মেয়েটির কাকা আগে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছিল।এদিন ঠাকুর দেখতে যাওয়ার সময় আমার বড় ভাইপো ও ওঁর মাকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে মেয়েটির কাকা ও তার ছেলে।"
শক্তিনগর এর এই ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এবং ভীমপুর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। সম্প্রতি, এই থানা এলাকায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে তাঁর মাকে খুন করার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এই ঘটনায় এলাকায় জনসাধারাণের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা।