কাঠগড়ায় তৃণমূল! বিজেপির নেতাকে রাস্তায় ফেলে মারধর
বলাগরে বিজেপির এক নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সালিশি সভায় পুরনো বিবাদের জের। আহত নেতার নাম সমীর হালদার। তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৭ অক্টোবর: বলাগরে বিজেপির এক নেতাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সালিশি সভায় পুরনো বিবাদের জের। আহত নেতার নাম সমীর হালদার। তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাসক শিবিরের নেতারা বলেছেন তাঁকে নাকি মারধর করা হয় নি। তবে রবিবার রাতে সিসিটিভি ফুটেছে ঘটনাটি ধরা পড়েছে। ফুটেছে দেখা যাচ্ছে তাকে টেনেহিঁচড়ে মারধর করা হচ্ছে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সমীর হালদার নিজের বাড়ির নিচে দোকানে বসেছিল। এবং কিছুক্ষণ পর কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা তাকে পেয়ার থেকে টেনে মেরে ফেলে দেয় এবং বেদারক মারধর করতে শুরু করে। তার পরনে যে গেঞ্জিটা ছিল সেটাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবং রাস্তায় টেনে নিয়ে যায়। আর সেখানে বেদারক মারা হয়। সমীর হালদার কে জিরাট বাস স্ট্যান্ড থেকে উদ্ধার করা হয় এবং ওই গভীর রাতে তাকে চুঁচুড়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, ইমামবাড়া জেলায় কয়দিন আগে সালিশি সভা বসে। আর বিজেপি নেতা সমীরের সঙ্গে কয়েকদিন আগে তৃণমূলের একটি ঝামেলা হয়। এবং বলাগর থানায় অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা সমীর। কেন সে থানায় গিয়েছে? মূলত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছেন।
বিজেপি হুগলি জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের অভিযোগ,তৃণমূলের স্থানীয় লোকজন সমীরকে বেধড়ক মারধর করে। তাকে অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। যদিও জিরাট অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় রায়ের দাবি,"সমীর হালদার সব দল করেছেন। বিজেপি নেতা তাঁর দোকানে দলীয় কার্যালয় খুলেছেন। সেখানে বহু মানুষের আনাগোনা। মহিলাদের কটূক্তি করা হয়। তার জেরে এই ঘটনা হতে পারে। তবে কাউকে মারধর করা কাম্য নয়। তার জন্য আইন আছে।" বলাগড় থানার পুলিশ এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে।