রেখা পাত্রকে উদ্দেশ্যে অশালীন শব্দ প্রয়োগে ক্ষমা প্রার্থী ফিরহাদ!
ফিরহাদ হাকিম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, কাকে নাকি সন্দেশখালীর ইস্যুতে 'বিজেপির পরাজিত প্রার্থী'বলে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আপত্তি জানিয়ে ফিরাদের কড়া শাস্তির দাবি জানান।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ৯ নভেম্বর: ফিরহাদ হাকিম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, কাকে নাকি সন্দেশখালীর ইস্যুতে 'বিজেপির পরাজিত প্রার্থী'বলে কুরুচিকর ভাষায় আক্রমণ করে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আপত্তি জানিয়ে ফিরাদের কড়া শাস্তির দাবি জানান। এই নিয়ে তর্কবিতর্ক চলায় ফিরহাদ ক্ষমা চান। তিনি করজোরে বলেন, নারীরা আমার কাছে মায়ের সমান। কোন মহিলাকে অপমানজনক কথা বলা তার অভ্যাস নয়। তবে কোন মহিলা নয়, এখানে বিজেপির পরাজিত প্রার্থীর কথা বলা হয়েছে। সেই কথায় রেখা পাত্র আঘাত পেলে ক্ষমাপ্রার্থী।
তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলামের সমর্থনে বুধবার হাড়োয়ায় জনসভা করতে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে চাচা ছোলা ভাষায় কিছু বক্তব্য রাখেন। আর কথা অনুযায়ী, ‘‘নারী নির্যাতন নিয়ে সারা দেশের কাছে মিথ্যা প্রচার করেছে বিজেপি। সন্দেশখালির নারীদের অসম্মান করেছে বিজেপি। সন্দেশখালিতে আমার এক বন্ধু থাকে। তার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ক্যানিংয়ে। বিজেপি সন্দেশখালিকে এতটাই কালিমালিপ্ত করেছে যে ক্যানিংয়ের লোকজন বলে, সন্দেশখালির মেয়ে মানে অপবিত্র। তাই তার বিয়ে ভেঙে যায়। বসিরহাটের যিনি বিজেপির প্রার্থী ছিলেন, সেই ভদ্রমহিলা কোথায়? এই তো হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে কেস করেছিল। হেরো মাল।”
বক্তব্যের এই শেষাংশ নিয়েই আপত্তি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি জাতীয় মহিলা কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে অনর্থক বিতর্ক উঠতেই ক্ষমা চেয়ে নিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘আমার কথায় রেখার যদি খারাপ লেগে থাকে, আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কোনও নারীকে অসম্মান করার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না। আমার নেত্রী নারী, মা নারী, স্ত্রী, কন্যা, নাতনিরাও নারী। তাঁরা আমার কাছে মাতৃস্বরূপা। নারীদের সম্মান করি বলেই বাংলায় আমরা দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, সরস্বতী পুজো করি। নারীদের অসম্মান করা আমাদের সংস্কৃতিতে নেই।’’ এর পর তাঁর আরও সংযোজন, ‘হেরে ভূত’, ‘হেরো মাল’ ইত্যাদি শব্দবন্ধগুলি ভোটে পরাজিত প্রার্থীদের উদ্দেশে, বিশেষত বিজেপির উদ্দেশে বলা। রেখা পাত্রকে তিনি 'ভদ্রমহিলা' বলেই সম্বোধন করেছেন বলেও দাবি।