পূর্বস্থলীতে বিরল প্রজাতির পাখি, উপচে পড়ল ওয়াইল্ড লাইফের ভিড়
বিরল প্রজাতির পাখির সন্ধান মিলল পূর্বাস্থলীতে। তাই পূর্বস্থলীর পলাশপুলি গ্রামে পাখির ছবি তুলতে ভিড় জমাচ্ছেন ওয়াইল্ড লাইফের শতাধিক সদস্যরা।
বিরল প্রজাতির পাখির সন্ধান মিলল পূর্বাস্থলীতে। তাই পূর্বস্থলীর পলাশপুলি গ্রামে পাখির ছবি তুলতে ভিড় জমাচ্ছেন ওয়াইল্ড লাইফের শতাধিক সদস্যরা। জানা যায়, ১০ দিন আগে বিমল শীল নামে এক নার্শারীর মালিকের কাঠাঁল গাছে এক জোড়া বিরল পাখি বাসা বাঁধে। ৩ দিন আগে দম্পতিটির ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। চুপি পাখিরালয়ের মাঝিদের মারফত এর ছবি সহ খরব পৌছায় কলকাতায় ওয়াইল্ড লাইফের সদস্যদের কাছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ওই নার্শারীতে ভিড় জমাতে থাকেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার দমদমের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু দাস বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে এই প্রজাতির পাখি বিরল। দক্ষিন ভারতেও অল্প পরিমানে দেখা যায় এই প্রজাতি। নাম ব্ল্যাক ন্যাপড মোনার্চ। জানা যায়, গ্রীষ্মের মরসুমে বাচ্চা পারার জন্য এরা বহু দূরের গ্রামীন অঞ্চলে চলে আসে। লিঙ্গ ভেদে এদের দেখতেও কিছুটা ভিন্ন হয়। পুরুষ পাখিটির মাথার পেছনে একটি স্বতন্ত্র কালো ছোপ, গলায় একটি সরু কালো অর্ধেক দাগ এবং ডানা নীল রঙের হয়ে থাকে। এদিকে মহিলা পাখিটি বাদামি ডানা বিশিষ্ট হয়ে থাকে। গাছের দুই ডালের মাঝখানে রাখা কাপবিশিষ্ট বাসায় দুই থেকে তিনটি ডিম পাড়ে। বাসাটি মাকড়সার ডিমের কেস দিয়ে সজ্জিত হয়।
এমন অসময়ে ওয়াইল্ড লাইফের সদস্যদের আগমন দেখে স্থানীয়দের মধ্যেও কৌতুহল বেড়েছে। নার্শারীর মালিক বিমল শীল বলেন, 'এই ধরনের পাখি আগে কখনো দেখিনি। আমাদের ছোট কাঁঠাল গাছে বাসা বেঁধেছে। দুটো বাচ্চাও হয়েছে। এখনো দেখছি দূর দুরান্ত থেকে পক্ষী প্রেমীরা এসে এদের ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে।'