লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে বাজিমাত
যদিও সকাল থেকে সেই সমীক্ষা মিললেও বেলা বাড়তে থাকলে রূপ বদল ঘটে। যার নেপথ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ‘মহিমা’ দেখছেন অনেকেই। অন্তত গণনার ট্রেন্ড তেমনই জানান দিচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক্সিট পোলকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বঙ্গে শীর্ষে রইল জোড়া ফুল শিবির। এক্সিট পোলের সমীক্ষা অনুযায়ী জানানো হয়েছিল, ৩০ টপকে যেতে পারে বিজেপি। অন্যদিকে তৃণমূল নেমে যেতে পারে এগারোয়। সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসার পরই কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার অভিযোগ, বিজেপির কথা মতোই ভোট সমীক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সকাল থেকে সেই সমীক্ষা মিললেও বেলা বাড়তে থাকলে রূপ বদল ঘটে।
যার নেপথ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ‘মহিমা’ দেখছেন অনেকেই। কমিশন সূত্রে খবর, সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবারে ৪২ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটালে সকালের প্রথম ধাপে বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় এগিয়ে থাকলেও শেষ হাসি হাসেন তৃণ্মূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব। বেলা সাড়ে এগারোটায় কমিশনের আপডেট, রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২৯, বিজেপি ১১ ও কংগ্রেস একটি করে আসনে এগিয়ে। দুপুর আড়াইটের গণনা অনুযায়ী, ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৩০, বিজেপি ১১ কংগ্রেস একটি করে আসনে এগিয়ে। তবে সিপিএমের ঝুলি ছিল খালি।
ভোট পর্যবেক্ষকদের মতে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে ভোট বাক্সে। সেকারণেই সিংহভাগ সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে বাংলায় এবারে গতবারের চেয়েও নজরকাড়া ফল করেছে তৃণমূল। অন্তত গণনার ট্রেন্ড তেমনই জানান দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বাংলার ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ২২, বিজেপি ১৮ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে জয়ী হয়েছিল। সেবারে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৪৩.৭ শতাংশ। বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৬ শতাংশ ভোট। ওই ভোটে বিজেপির শতকরা প্রায় ১৬ শতাংশ ভোট বৃদ্ধি হয়েছিল। অন্যদিকে ১৬.৭২ শতাংশ ভোট কমেছিল বামেদের। বামেদের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল শতকরা ৭.৫ শতাংশ। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫.৭ শতাংশ।