এই ডায়েটটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি আশীর্বাদ, শিশুর স্থূলতা বাড়বে না কখনই

আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন, তাহলে এখন থেকে ভূমধ্যসাগরীয় খাবার গ্রহণ করা শুরু করুন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থায় ভূমধ্যসাগরীয় খাবার গ্রহণ করলে অল্প বয়সে শিশুর ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক যে, এই ভূমধ্যসাগরীয় খাবারের তালিকায় ঠিক কী কী আছে!

এই ডায়েটটি গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি আশীর্বাদ, শিশুর স্থূলতা বাড়বে না কখনই

আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 23 সেপ্টেম্বর: প্রত্যেক মা চান তার অনাগত সন্তান সুস্থ ও ফিট থাকুক। কিন্তু অনেক সময় ভালো যত্নের(good care) পরও শিশুকাল থেকেই স্থূলতা বাড়তে থাকে। যাকে বলা হয় শৈশব(childhood) স্থূলতা। যা পরবর্তীতে ডায়াবেটিস, ক্যান্সার এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের কারণ হয়। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে গর্ভাবস্থায় মহিলারা(pregnant women) যে জিনিসগুলি খান তা শিশুর ওজনের উপরও প্রভাব ফেলে।

এই অবস্থায় প্রত্যেক মহিলারই খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, গর্ভাবস্থায় ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্য অনুসরণ করা শিশুদের শৈশবকালীন স্থূলতা প্রতিরোধ করতে পারে। এই গবেষণাটি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ওবেসিটিতে প্রকাশিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট গবেষণায় জানা গেছে, ভূমধ্যসাগরীয় খাবার অনুসরণ করে মহিলাদের জন্ম নেওয়া শিশুদের স্থূলত্বের সম্ভাবনা মাত্র 6 শতাংশ।

ভূমধ্যসাগরীয় খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম : 

1) এটি একটি উদ্ভিদ ভিত্তিক খাদ্য। যাতে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য এবং লেবু বেশি খাওয়া হয়।এই সময়ের মধ্যে, আপনি মাসে মাত্র 2 থেকে 3 বার লাল মাংস খেতে পারেন। এই খাদ্যের সাথে ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ।

2) তেল, ঘি বা মাখনের পরিবর্তে অলিভ বা ক্যানোলা তেল ব্যবহার করতে হবে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে হলে লবণ কম খেতে হবে এবং ভেষজ বেশি ব্যবহার করতে হবে।

দাবিত্যাগ: এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য। এটি কোনোভাবেই কোনো ওষুধ বা চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না। আরও তথ্যের জন্য সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।