কাঞ্জীভরাম কিনতে গিয়ে ভুল করে বেনারসি সিল্ক কিনছেন না তো? জেনে নিন দুটোর মধ্যে পার্থক্য
সময়ের সাথে সাথে তাঁতের প্রতি মানুষের আগ্রহও বাড়ছে। এর মধ্যে কাঞ্জিভরম (kanjivaram saree) এবং বেনারসি সিল্ক শাড়ির (benarasi silk saree) ট্রেন্ড (trend ) সবচেয়ে বেশি। কিন্তু কেনার সময় এই দুই ধরনের শাড়ি শনাক্ত করতে গিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন অনেকেই। কী ভাবে চিনবেন কোনটি কাঞ্জীভরাম আর কোনটি বেনারসি সিল্ক? জানুন এই প্রতিবেদনে।
আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 24 অক্টোবর: ভারতীয় তাঁতের শাড়িতে বেনারসি (benarasi) এবং কাঞ্জিভরম সিল্ক (kanjivaram silk) মহিলাদের প্রথম পছন্দ, এমনকি আধুনিক মহিলাদের মধ্যেও ক্লাসি এবং মার্জিত চেহারার জন্য সিল্কের ক্রেজ রয়েছে। কিন্তু কাঞ্জিভরম এবং বেনারসি উভয়েরই তাঁতের কাজ প্রায় একই রকম। কখনও কখনও উভয় শাড়ির মধ্যে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়ে।
কাঞ্জীভরাম (kanjivaram saree) ও বেনারসীর (benarasi silk) পরিচয়
কাঞ্জিভরম শাড়ি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম শহরের অন্তর্গত। আমরা যদি বেনারসি শাড়ির কথা বলি, তবে এর নাম থেকেই বোঝা যায় এটি উত্তরপ্রদেশের বেনারসের পরিচয়। বেনারসি শাড়ির ইতিহাস 2000 বছরের পুরনো। খাঁটি সোনার সুতার কাজের কারণে কাঞ্জিভরম শাড়ি বেনারসি সিল্কের চেয়ে ভারী এবং দামও বেশি।
টেক্সচার এবং নকশা (kanjivaram saree and benarasi silk : texture and design)
কাঞ্জিভরম শাড়ি তুলনায় ভারী, এতে রয়েছে উজ্জ্বল টেক্সচার। এই শাড়িগুলিতে সাধারণত ঐতিহ্যবাহী দক্ষিণ ভারতীয় নকশা থাকে। এতে দেব-দেবী, মন্দির ও প্রাকৃতিক জিনিসের মূর্তি খোদাই করা থাকে। অপরদিকে, বেনারসি শাড়িতে মুঘল আমলের ঘণ্টা, ফুল, পাতা, পায়েসলি ইত্যাদির নকশা রয়েছে। কাঞ্জিভরম এবং বেনারসি সিল্ক শাড়িতে জরির কাজ রয়েছে। তবে, পার্থক্য হল কাঞ্জীভরামে সোনালী বা সিলভার জরির কাজ থাকে। অপরদিকে, বেনারসি শাড়ি সিল্ক এবং জরি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। এগুলির বিভিন্ন প্যাটার্ন আছে। তবে আপনি চাইলে বেনারসি শাড়িতেও সোনালী সুতো দিয়ে কাজ করাতে পারেন।
রেশম
কাঞ্জিভরম শাড়ি সাধারণত খাঁটি তুঁত সিল্ক দিয়ে তৈরি করা হয়, যা স্পর্শের দিক থেকেও নরম। বেনারসি শাড়িতে রয়েছে বেনারসি সিল্ক ও জরির কাজ। শুধু তাই নয়, বেনারসি সিল্কের উপর আলো পড়লে এর কাপড় চকচক করে। এছাড়াও, এর থ্রেডগুলির ভিতরে লাল রেশম ব্যবহার করা হয়।