জন্মদিনেই উদ্ধার ছেলের মৃতদেহ! আত্মহত্যা নাকি দুর্ঘটনা?
কিশোরটি তার বাবা মার কাছে জাকজমকপূর্ণ করে জন্মদিন পালন করার আবদার করেছিল। কিন্তু তাদের আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তার বাবা ভ্যানচালক। তবুও ছেলের কিছুটা আবদার রাখতে বাবা তার জন্য কেক নিয়ে ফিরছিলেন। বাড়ি ফিরে তার বাবা দেখে ছেলের ঝুলন্ত দেহ।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৫ অক্টোবর: কিশোরটি তার বাবা মার কাছে জাকজমকপূর্ণ করে জন্মদিন পালন করার আবদার করেছিল। কিন্তু তাদের আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তার বাবা ভ্যানচালক। তবুও ছেলের কিছুটা আবদার রাখতে বাবা তার জন্য কেক নিয়ে ফিরছিলেন। বাড়ি ফিরে তার বাবা দেখে ছেলের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল বনগাঁ থানার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রামে।
সুন্দরপুর গ্রামের পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা গ্রামের বাসিন্দা প্রীতম সরকার। তার বয়স মাত্র ১১ বছর। ছেলেটি পঞ্চম শ্রেণীতে গাড়াপোতা হাইস্কুলে। তার বাবা প্রকাশ সরকার। পেশায় একজন ভ্যানচালক। স্ত্রী নিয়ে তাদের দুই সন্তান। ছোট্ট ছেলে প্রীতমের জন্মদিন বৃহস্পতিবার ছিল। সে বাড়িতে মাংস খাওয়ার আবদার করেছিল তার জন্মদিন উপলক্ষে। তবে পরিবারের দাবি যে, ছেলেটিকে বলা হয়েছিল যে তার জন্য বিকেলবেলা বাবা কেক নিয়ে আসবে। তাদের আত্মিক সামর্থ্য সেরকম না থাকায় মাংসটা পরেরদিন হবে। তবে পায়েস রান্না করা হবে।
বাবা প্রকাশ সরকার বলেন, "প্রীতম ঘরে একাই ছিল এবং কার্টুন দেখছিল। আর বাড়িতেও কেউ ছিলনা। আমি বাজার থেকে কেক নিয়ে ঢুকলাম আর গিয়ে দেখি ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। ছেলেটির মৃত্যু কিভাবে হল তা নিয়ে পরিবারে এখনও ধন্দে রয়েছে।