আইএসএলের ভবিষ্যত অন্ধকার বলছেন সুব্রত ভট্টাচাৰ্য
অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়: আগামী বছর ফেডারেশনের সঙ্গে এফএসডিএলের চুক্তি শেষ হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে আইএসএলের বেশ কিছু ফ্রাঞ্চাইজি ক্ষতির মুখে। হায়দরাবাদ এফসির মত দলগুলি নানা সমস্যায় জর্জরিত। ফের দল নামাবে কিনা তা নিয়েও সংশয়। গত মরসুম তো কোনও টাইটেল স্পনসর ছাড়া চলল ভারতের এক নম্বর ফুটবল টুর্নামেন্ট।তাহলে কি আইএসএল থাকবে না!
যদিও আইএসএল নিয়ে খুব একটা খুশি নন মোহনবাগানের ঘরের ছেলে ‘অর্জুন’ সুব্রত ভট্টাচাৰ্য। ময়দানের বাবলু আইএসএল নিয়ে তেমন কোনও আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না। এইরকম হিজিবিজি কথা যে কেউ ময়দানে একটু আধটু ঘোরাঘুরি করলেই শুনতে পাবেন। সুব্রত বললেন, “আইএসএল খুব একটা কম দিন তো হচ্ছে না। দেখতে দেখতে দশ বছর হয়ে গেল। একটা দশক তো কম সময় নয়। এতদিনে কি কোনও লাভ হয়েছে! হয়নি তো! ফেড কাপের মত টুর্নামেন্ট বন্ধ হল।সন্তোষ ট্রফির মত কত বড় বড় টুর্নামেন্ট গরিমা হারাল। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন(এআইএফএফ) যারা চালান, তারা পয়সা আর ক্ষমতা ছাড়া কিছু বোঝে না। একটা প্রাইভেট টুর্নামেন্ট কোথাও এতো ক্ষমতা পায় না কি? ফুটবলটা পুরো শেষ করে দিয়েছে। যদি সত্যি ভারতীয় ফুটবলের উন্নতি করত তাহলে তো বোঝাই যেত।”
একটানা কথা বলার পর থামলেন কিছুক্ষণ। বোঝা গেল ভারতীয় যেভাবে চলছে তাতে উন্নতির কোনও লক্ষণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন। বরং ভারতীয় ফুটবলের ভগ্নদশা তাঁকে কষ্ট দেয়। এরপর ফের মুখ খুললেন, “ সুনীল ছেত্রীকে আমি তৈরি করেছিলাম। এবার সে অবসর নিচ্ছে। কিন্তু তারপর ভারতীয় ফুটবলে আর প্লেয়ার কোথায় যে জেতাবে! নিজেই তুললেন আইএসএলের দলগুলোর কোচিং স্টাফ মায় চিফ কোচ, আসিস্ট্যান্ট কোচদের প্রসঙ্গ। নিজেই প্রশ্ন করলেন, 'যারা দলগুলোর কোচিং করান তাঁদের বায়োডাটা কী! কোথায় সাফল্য আছে? এতো বড় কোচ হলে নিজেদের দেশে কাজ পেতো তো। পারছে না তাই এখানে আসছে। কোনও সাফল্য দিতে পারেনি। রহিম সাহেব, পিকে ব্যানার্জির পরে তো কেউ নেই”
এরপরই সাত ও আট-এর দশকে দাপটে মোহনবাগান এবং ভারতীয় দলে খেলা সুব্রতর দাবি, “আমি বড় দলকে কোচিং করে সর্বভারতীয় ট্রফি দিয়েছি। এখনকার এই বিদেশী কোচরা ক’টা ট্রফি দিয়েছে? আমার থেকে তো বেশি সাফল্য কেউ দিতে পারেনি। সবথেকে বেশি ট্রফি আমি দিয়েছি। অথচ, আমাদের মত প্রাক্তনদের কেউ পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন পর্যন্ত মনে করে না।”
তিনি কী কোচিং লাইসেন্স পাশ করে কোচ হতে পারতেন না! প্রশ্ন শুনে হেসে সুব্রত বললেন, “কীসের লাইসেন্স! আমি কী ফুটবল বুঝি না কি? যারা এখন কোচিং করাছে তাঁদের থেকে আমি এখন অনেক ভালো কাজ করব। আর ভারতীয় কোনও কোচদের তো ওরা কাজ দেয় না বলেই জানি। একটা বাঙালি ফুটবলার নেই। আগে ভারতীয় দলে কত বাঙালি ছিল। এরা এভাবেই ফুটবলটাকে একেবারে শেষ করে দিল”