বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে একাধিক মন্ত্রী
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের দায়িত্বে এবার একাধিক মন্ত্রী। বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দায়িত্ব দেওয়া হল একাধিক মন্ত্রীকে। পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী মলয় ঘটককে।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ২০ সেপ্টেম্বর: ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের দায়িত্বে এবার একাধিক মন্ত্রী। বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে দায়িত্ব দেওয়া হল একাধিক মন্ত্রীকে। পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মন্ত্রী মলয় ঘটককে। পূর্ব বর্ধমান দেখাশোনা করবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও স্বপন দেবনাথ। হাওড়ার দায়িত্বে রয়েছেন মন্ত্রী পুলক রায় ও ফিরহাদ হাকিম। হুগলির দায়িত্বে মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও ফিরহাদ হাকিম। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্বে মানস ভুইয়া। এছাড়া সমস্ত সাংসদ, বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা তাঁদের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবসময় মানুষের পাশে থাকেন। রাস্তায় নেমে এই দুর্যোগ পরিস্থিতির মোকাবিলায় একজোট হয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সকলকে।
এদিকে, রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির মাঝেই দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন অর্থাৎ ডিভিসি-র তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ২০ হাজার কিউসেক জল কম ছাড়া হবে জলাধারগুলি থেকে। ইতিমধ্যেই এই নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে। ডিভিসির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে যথাক্রমে ১০ হাজার এবং ৫০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে।
ডিভিসির তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে পশ্চিমবাংলা ও ঝাড়খণ্ডে লাগাতার ভারী বৃষ্টির ফলে জলস্তর ছাপিয়ে গিয়েছে৷ পাশাপাশি তাদের বক্তব্য তেনুঘাট বাঁধের জল ছাড়ার বিষয়টি নির্ভর করে থাকে ঝাড়খণ্ড সরকারের উপর। তবে জলাধার থেকে জল ছাড়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে দুই রাজ্যের আধিকারিক, সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন এদের জানানো হয় নিয়মিত।