দেবাশীষের বিরুদ্ধে হবে FIR! নেপথ্যে কোন কারণ ?
সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন এবং সেখানেই এই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যবস্থাকে তাড়াতাড়ি ঠিক করার কথা বলা হয়েছে। তবে অনুমতি না থাকার সত্বেও জোর করে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তবে তারা ভবিষ্যতেও কি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ২১অক্টোবর: সোমবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বৈঠক ডেকেছেন এবং সেখানেই এই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ব্যবস্থাকে তাড়াতাড়ি ঠিক করার কথা বলা হয়েছে। তবে অনুমতি না থাকার সত্বেও জোর করে বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তবে তারা ভবিষ্যতেও কি এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এমন পরিস্থিতি চলছে তার মধ্যেও তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষের নজরে রয়েছে আন্দোলনকারী দুই জুনিয়র চিকিৎসক। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটের নামে কোনও রোগীর ক্ষতি হলে অভিযোগ দায়ের করবেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে কুণাল ঘোষ লেখেন, "যদি মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠক পরিকল্পিতভাবে অন্যায্য জেদে ভেস্তে দিয়ে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটের নামে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হয়, তাহলে বাংলার কোনো রোগীর কোনো ক্ষতি হলে নিকটবর্তী থানায় ডাঃ দেবাশিস হালদার ও ডাঃ অনিকেত মাহাতোর নামে যেন FIR হয়। তাঁরাই চক্রান্তের মাতব্বর। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকের নাম যোগ করবেন। চিকিৎসা আপনার মৌলিক অধিকার। প্ররোচনা দিয়ে তা থেকে বঞ্চিত কার আইনত অপরাধ।" তাঁর মত, "যদি এই আন্দোলনের কারনে কোন রোগীদের বিন্দুমাত্র ক্ষতি হয় তাহলে এই দুজনে প্ররোচনাদাতারা দায়ী থাকবে।"কুনাল বলেন আরো একবার তাদের অনশন প্রত্যাহার করার কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নাকি বারবার অভিভাবকোচিত সংবেদনশীলতা দেখাচ্ছেন এমনটাই তার মতামত।। তাতে সাড়া দিয়ে অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনা হোক।
জুনিয়র ডাক্তাররা বারবার এই টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন।তবে এবার আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৮ জন চিকিৎসক। তাঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। সে কারণে শনিবার মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব ধর্মতলার অনশন মঞ্চে যান। মুখ্যসচিবের মারফৎ ফোনে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। অনশন প্রত্যাহার করে আলোচনার টেবিলে বসার আর্জি জানান। তবে তা সত্ত্বেও নিজেদের অবস্থানে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার বিকেলে নবান্নের বৈঠকে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অচলাবস্থা কাটে নাকি মঙ্গলবার স্বাস্থ্য ধর্মঘটে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় আমজনতাকে, সেটাই এখন দেখার।