জুনিয়র ডাক্তারদের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ! আর জি করের শিরায় শিরায় দুর্নীতি
গত ৮ ই আগস্ট তিলোত্তমের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরজি কর হাসপাতালের ভুরিভুরি দুর্নীতি সামনে এসেছে। তদন্তে যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে সর্ব শ্রেষ্ঠ হচ্ছেন ওই হাসপাতালে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তারও করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তবে জুনিয়ররা এবার মুখ্যমন্ত্রী হাতে এই দুর্নীতির বিস্তারিত তথ্য তুলে দিয়েছেন।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৩ অক্টোবর: গত ৮ ই আগস্ট তিলোত্তমের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরজি কর হাসপাতালের ভুরিভুরি দুর্নীতি সামনে এসেছে। তদন্তে যাদের নাম রয়েছে, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছেন ওই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাকেও গ্রেপ্তারও করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তবে জুনিয়ররা এবার মুখ্যমন্ত্রীর হাতে এই দুর্নীতির বিস্তারিত তথ্য তুলে দিয়েছেন। তারা বলেন সবকিছু জেনেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি স্বাস্থ্যদপ্তর।
জুনিয়ার ডাক্তাররা আরও বলেন, ট্রেডারে অনিয়ম, যন্ত্রপাতি কেনা থেকে প্যাকিং, সর্বত্র কাট মানি সহ একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেছেন। আর আভয়ার কাণ্ডের পর এই দুর্নীতিগুলো আরো বেশি করে উঠে আসছে সবার সামনে। যা নাকি কয়েকগুণ বেড়েছিল করোনা কালে। ওষুধের কোম্পানিকে হাসপাতালে তরফ থেকে সোফার বরাত দেওয়া হয়েছিল। মেশিন কেনার সময় তারা
১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মেশিন কেনে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে।এখানেই শেষ নয়, তারা মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা পর্যন্ত করত। জুনিয়র ডাক্তাররা এসব কিছুর প্রমান হিসেবে সোমবার নবান্নে কয়েকটি নথিপত্র মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন। জানা গিয়েছে, ১৩৭ পাতার এই নথির ছত্রে ছত্রে বর্ণনা করা হয়েছে, কীভাবে সন্দীপ ঘোষ দাপট দেখাতেন আর জি করে।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট, নাইট শিফট ছিল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের। পরদিন সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ সঞ্জয় রায়কে গ্রেপ্তার করে। গত ১৩ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। আর জি করের দুর্নীতি মামলারও তদন্ত শুরু হয়। গ্রেপ্তার করা হয় সন্দীপ ঘোষকে। এবার সন্দীপের ‘দুর্নীতি’র লিখিত অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।