জানেন কি একজন ডায়াবেটিস রোগীর কি কি ধরনের টেস্ট করা উচিত? পাশাপাশি জেনে নিন সম্পূর্ণ খাদ্যাভাস

ফল, শাক-সব্জি ও ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। রাঙা আলু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে খুব উপকারী।

জানেন কি একজন ডায়াবেটিস রোগীর কি কি ধরনের টেস্ট করা উচিত? পাশাপাশি জেনে নিন সম্পূর্ণ খাদ্যাভাস

আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 25 সেপ্টেম্বর: ডায়াবেটিস রোগীদের কী কী টেস্ট কতদিন ছাড়া করা উচিত? দেখে নিন বেল ভিউ স্পেশালিস্ট ডঃ অরবিন্দ বেরার মতামত।

(১) গ্লুকোমিটারের সাহায্যে যে কোনো দিন নিজেই নিজের সুগার নির্ণয় করতে পারেন।

(২) HbAIC বছরে ২-৪ বার।

(৩) বছরে একবার বা দুইবার চোখ পরীক্ষা করানো প্রয়োজন এবং কোনও রেটিনোপ্যাথি হয়েছে কিনা তার দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা দরকার।

(৪) মাইক্রো অ্যালবুমিন কমপক্ষে বছরে একবার (ACR) করা উচিৎ, কিডনী বা বৃক্ক ঠিক আছে কিনা দেখার জন্য।

(৫) Lipid Profile এবং Creatinine বছরে একবার করা উচিত ।

(৬) বছরে চারবার ব্লাডপ্রেসার দেখা উচিত।

(৭) Influenza/pneumococcal/Hepa B ভ্যাকসিনেশন নেওয়া যেতে পারে।

 (৮) ECG বছরে একবার করালে ভাল হয়।

ডায়াবেটিস-এর জন্য কেমন ধরণের পুষ্টি দরকার?

1) কম কার্বহাইড্রেটযুক্ত কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

2) কম ট্রান্সফ্যাটযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

 3) মেডিটেরিয়ান জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।

4) ফ্রুকটোজ জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।

5) যে সকল খাদ্যে কম সুক্রোজ থাকে সেগুলি খাওয়া উচিত।

6) সব সময় কম গ্লাইসিমিক যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।

7) ফল, শাক-সব্জি ও ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। রাঙা আলু ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে খুব উপকারী।

সুগার কমে যাওয়ার লক্ষণ কী কী?

ঘাম হওয়া

গা ঝিম ঝিম করা

বুক ধড়পড় করা

ঝিমিয়ে পড়া 

মাথা ধরা

খিচুনি

এক্ষেত্রে চকলেট বা চিনি বা মিষ্টি চা খেয়ে নিলে অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ডায়াবেটিক পেশেন্ট বিশেষত বাঙালিদের জন্য খাদ্য তালিকাঃ

সকালের খাওয়া (Breakfast) -

১) খই, ছোলা ভাজা, লাল চা ও একটা সুগার ফ্রি বিস্কুট।

২) অল্প মুড়ি, কাঁচা বা সিদ্ধ ছোলা সাথে লাল চা ও একটা সুগার ফ্রি বিস্কুট।

 (৩) ব্রাউন ব্রেড দুই পিস সাথে শশা, টমেটো দিয়ে স্যান্ডউইচ এবং লাল চা ও একটা সুগার ফ্রি বিস্কুট অথবা চায়ের বদলে সুগার ফ্রি হেলথ্ ড্রিঙ্ক খাওয়া যেতে পারে। দুপুরে খাবারের (Lunch) আগে খিদে পেলে এক কাপ ডায়াবেটিক মিল্ক (সুগার ফ্রি দুধ) অথবা অর্ধেক পেয়ারা বা আপেল অথবা একটা শশা খাওয়া যেতে পারে।

দুপুরের খাওয়া (Lunch): 

মাঝারি মাপের এক বাটি ভাত অথবা দুটি বড় রুটির সঙ্গে টমেটো, শশা, পেঁয়াজ দিয়ে স্যালাড খাওয়া যেতে পারে। ভাতের সাথে মাছের ঝোল, পেঁপে, গাজর, পটল, বেগুন, বরবটি, সিম, ঝিঙে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভাতে সেদ্ধ খেতে চাইলে বেগুন, সিম, উচ্ছে খাওয়া যেতে পারে। একদিন ছাড়া একটি করে ডিমের ঝোল বা প্রতিদিন সোয়াবিনের ঝোল খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন ৫০ গ্রাম মতো টক দই খাওয়া যেতে পারে। লুচি বা বেগুন ভাজা না খাওয়াই ভালো, কারণ ওর মধ্যে অনেক তেল থাকে।

সন্ধের টিফিন (Tiffin) -

ছোলা ভাজা, চিড়ে ভাজা, খই, মুড়ি অল্প করে চা দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে আপেল, শশা, পেয়ারা, জামরুল খাওয়া যেতে পারে।

রাতের খাবার (Dinner) -

কম করে রুটির সঙ্গে দুপুরের খাবারের বর্ণিত ঝোল অথবা ভেন্ডি ভাজা, পটল ভাজা, বেগুন পোড়া, স্যালাড ও ৫০ গ্রাম টক দই খাওয়া যেতে পারে।

সৌজন্যে : ডঃ অরবিন্দ বেরা