আপনারও কি সেনসিটিভ স্কিন? জেনে নিন মেকআপের কিছু টিপস!

তবে সবার প্রথমে জানতে হবে আপনার স্কিন টাইপ ঠিক কীরকম। সেটা জেনে তবেই আপনাকে মেকআপ করতে হবে। স্কিন টাইপ না জেনে মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ত্বকে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন: লালচে ভাব, ব্রণ, র্যা শ, অ্যালার্জি অথবা চুলকানি হতে পারে। এছাড়া ধুলোবালি ও কড়া রোদেও সেনসিটিভ স্কিনে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তবে যাদের সেনসিটিভ স্কিন তারা যদি কয়েকটি টিপস ফলো করেন তাহলে নিশ্চিন্তে মেকআপ করতে পারবেন।

আপনারও কি সেনসিটিভ স্কিন? জেনে নিন মেকআপের কিছু টিপস!

আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 15 অক্টোবর: মুখে মেকআপ করলেই কি চুলকানি হচ্ছে? জ্বালা জ্বালা করছে? এরকম সমস্যা কিন্তু অনেকেরই হয়। মনে রাখবেন আপনার যদি সেনসিটিভ স্কিন হয় তাহলে এই সমস্যাগুলি হতে পারে। অনেকে আবার ভেবে থাকেন সেনসিটিভ স্কিল হলে হয়তো মেকআপ করা যায় না। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সেরকম নয়। যাদের সেনসিটিভ স্কিন তারা যদি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখেন তাহলে নিশ্চিতে মেকআপ করতে পারেন, এবং সুন্দর লুক পেতে পারেন।

তবে সবার প্রথমে জানতে হবে আপনার স্কিন টাইপ ঠিক কীরকম। সেটা জেনে তবেই আপনাকে মেকআপ করতে হবে। স্কিন টাইপ না জেনে মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ত্বকে নানা রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যেমন: লালচে ভাব, ব্রণ, র্যা শ, অ্যালার্জি অথবা চুলকানি হতে পারে। এছাড়া ধুলোবালি ও কড়া রোদেও সেনসিটিভ স্কিনে নানা রকম সমস্যা হতে পারে। তবে যাদের সেনসিটিভ স্কিন তারা যদি কয়েকটি টিপস ফলো করেন তাহলে নিশ্চিন্তে মেকআপ করতে পারবেন।

১) সেনসিটিভ স্কিনের(sensitive skin)জন্য সঠিক ফর্মুলার মেকআপ প্রোডাক্ট(makeup product) বাছা খুবই জরুরি। কারণ ভুল প্রোডাক্ট নির্বাচন সেনসিটিভ স্কিনে নানারকম সমস্যা তৈরি করতে পারে। সঙ্গে ড্যামেজের কারণ হতে পারে। সেনসিটিভ স্কিনের ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যালকোহল ও ফ্রেগ্রেন্স ফ্রি মেকআপ প্রোডাক্ট সিলেক্ট করতে হবে। কেননা এই উপাদানগুলো সাধারণত স্কিনের সেনসিটিভিটিকে ট্রিগার করে। খেয়াল রাখতে হবে এই প্রোডাক্টগুলো যেন অবশ্যই নন কমেডোজেনিক হয়।

২) মেকআপ করার আগে অবশ্যই স্কিন(skin) সঠিকভাবে ক্লিন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে সেনসিটিভ স্কিনের ক্ষেত্রে স্কিন প্রোপারলি ক্লিন না করে মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে ইরিটেশন হতে পারে। সেক্ষেত্রে পি এইচ ব্যালেন্সড সোপ ফ্রি ক্লিনজার বেছে নিতে হবে।

৩) সেনসিটিভ স্কিনের ক্ষেত্রে নতুন প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে সমস্যা হতে পারে। তাই যেকোনো নতুন প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিতে হবে। এর জন্য কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে আমাদের কানের পেছনের অংশে অ্যাপ্লাই করে রাখতে হবে কিছুটা সময়। যদি ব্যবহারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোনোরকম রিঅ্যাকশন না হয়, তাহলে বুঝতে হবে স্কিনের জন্য ওই প্রোডাক্টিটি নিরাপদ।

৪) স্কিন পরিষ্কার করে নেওয়ার পরেই কিন্ত আপনার স্কিন মেকআপ অ্যাপ্লাই করার জন্য রেডি হয় যায় তা নয়। মেকআপের আগে স্কিনকে প্রোপারলি ময়েশ্চারাইজড করে নিতে হবে। সেরামাইড যুক্ত ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে নিতে পারেন। আপনার স্কিন যদি ভালোভাবে ময়েশ্চারাইজড থাকে তাহলে একটি স্মুথ মেকআপ বেইজ তো পাবেনই, পাশাপাশি স্কিনে চুলকানি ভাব হওয়ারও সম্ভাবনা কম থাকে।

৫) সেনসিটিভ স্কিনে সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি ক্ষতি করতে পারে। দিনের বেলা রোদে বেড়নোর আগে মেকআপের আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগান। সেনসিটিভ স্কিনের জন্য মিনারেল সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

৬) সেনসিটিভ স্কিনে খুব বেশিক্ষণ মেকআপ রাখা ঠিক নয়। তাই কোথাও মেকআপ করে গেলে বাড়ি ফিরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেকআপ সঠিক ভাবে রিমুভ করুন। এতে ত্বক পরিষ্কার ও সুন্দর থাকবে। এক্ষেত্রে ডাবল ক্লেনজিং কিন্তু মাস্ট! প্রথম ধাপে নিজের পছন্দের অয়েল ক্লিনজার বা মাইসেলার ওয়াটার বা ক্লিনজিং বাম বেছে নিতে পারেন। এরপর রেগুলার ওয়াটার বেইজড ক্লিনজার দিয়ে ফেইস ভালোভাবে ক্লিন করে নিন। তাই এবার থেকে মেকআপ করার আগে স্কিন টাইপ জেনে নিন। আর সেনসিটিভ স্কিন হলেও চিন্তার কিছু নেই, উপরিউক্ত টিপসগুলি ফলো করুন, আর নিশ্চিন্তে মেকআপ করুন।