কলতানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তুলল সিপিআইএম
যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা জাল ‘প্রমাণ’ যারা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত করতে হবে। শনিবার দুপুরে এমনই দাবি তুলল সিপিআই(এম)। এরই পাশাপাশি কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারিকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দাও করা হয়।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয় কর্মকার, ১৪ সেপ্টেম্বর:যুবনেতা কলতান দাশগুপ্তকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা জাল ‘প্রমাণ’ যারা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত করতে হবে। শনিবার দুপুরে এমনই দাবি তুলল সিপিআই(এম)। এরই পাশাপাশি কলতান দাশগুপ্তের গ্রেফতারিকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দাও করা হয়।
এই প্রসঙ্গে সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম লিখিত বিবৃতি দিয়ে জানান, মিথ্যা মামলা চাপিয়ে একজন তরুণ প্রতিবাদীকে গ্রেফতার করা হলো। ভীমা কোরেগাওয়ের মতো কাণ্ডে বিজেপি সরকারের পদক্ষেপ অনুসরণ করছে তৃণমূল। লালবাজারে বামফ্রন্টের ডাকে অবস্থান চলছে। শনিবার ভোরে সেখান থেকে ফেরার পথেই গ্রেফতার করা হয় কলতানকে।
সেলিম বিবৃতিতে বলেছেন, বিনীত গোয়েলকে কলকাতা পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানোর দাবিতে আমরা অনড়। জনতা একজোট থাকলে লড়াই জয়ী হবেই। তিনি বলেন, আরজি কর কাণ্ডে বিচারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে বদনাম করার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র চলছে। যে ঘটনাক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে কলতানকে গ্রেফতার করা হলো তা থেকেই এই উদ্দেশ্য স্পষ্ট।
সেলিম বিবৃতিতে বলেছেন, এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে কৃষক আন্দোলনকে বদনাম করতে দিল্লিতে বিজেপি সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ। ভীমা কোরেগাওতেও সন্দেহজনক এবং জাল বৈদ্যুতিন সামগ্রী প্রমাণ হিসেবে দাখিল করার হয়েছিল। দিল্লির দাঙ্গার ঘটনাতেও একই ভূমিকা নিয়েছে বিজেপি সরকার। এই ধরনের কৌশল আরএসএস’র বরাবরের চেনা চিত্রনাট্যের অংশ। সেই একই চিত্রনাট্য ব্যবহার করছে পশ্চিমবঙ্গের শাসকরা।
এর পাশাপাশি সেলিম এও বলেন, ‘এই ছকেই ১৪ অগাস্ট মধ্যরাতে আর জি কর হাসপাতালে অবস্থানরত প্রতিবাদী ওপর হিংসাত্মক হামলা চালানো হয়েছিল। শাসকদলের আইটি সেল এবং পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল একই ভাষায় কথা বলেছিলেন। ডিওয়াইএফআই-কে লক্ষ্য করে বলা হয়েছিল ওই হামলায় একটি রাজনৈতিক সংগঠনের যোগ রয়েছে। কিন্ত আজ পর্যন্ত এই অভিযোগের সপক্ষে কোনও প্রমাণ পেশ করা হয়নি। কেউ ক্ষমা চায়নি, তার তদন্ত আদৌ হচ্ছে কিনা তা নিয়ে কোনও সংবাদ আর পরিবেশন করা হচ্ছে না। শাসকদলের সর্বোচ্চ স্তর থেকে আন্দোলনের বিরুদ্ধে ‘আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স’-কে ব্যবহার করার অভিযোগ তোলা হচ্ছে। অথচ, তারই দলের আইটি সেল ‘ডিপফেক’ এবং জালিয়াতি করে তৈরি ‘ক্লিপ’ ছাড়ছে। একজন তরুণ প্রতিবাদীকে হেনস্তা এবং গোটা আন্দোলনকে বদনাম করার সরকারি মদতে তৈরি ষড়যন্ত্রের নমুনা এই গ্রেফতারি।’