আপনার কি ডায়বেটিসের সমস্যায় বেড়েই চলেছে? কিভাবে কমাবেন বুঝতে পারছেন না! আসুন জেনে নিই ডঃ অরবিন্দ বেরার কিছু মতামত
আমাদের শরীরের(body) রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বলে ডায়াবেটিস(diabetes)। কি কি কারণে ডায়াবেটিস-হতে পারে? আসুন জেনে নিই!
আজ এখন ডেস্ক, ২৪ শে সেপ্টেম্বর:আমাদের শরীরের(body) রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়াকে বলে ডায়াবেটিস(diabetes)। কি কি কারণে ডায়াবেটিস-হতে পারে? প্রখ্যাত ডক্টর অরবিন্দ বেরা এই বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য আমাদেরকে জানিয়েছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত!
(১) অগ্ন্যাশয় (Pancreas) থেকে ইনসুলিন ক্ষরণ কমে গেলে
(২) আমাদের শরীরের গ্লুকোজ পেশীকোষ যদি ঠিক মতো ব্যবহার করতে না পারে
(৩) লিভার থেকে গ্লুকোজ উৎপাদন যদি বেড়ে যায়
হিসেব অনুযায়ী চিন-এর পর ভারতবর্ষেই সবচেয়ে বেশি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত।
ডায়াবেটিস কত রকম?
(১) টাইপ 1:
এই ধরণের DM ইনসুলিন খুব কম পরিমাণে তৈরি হয় অথবা একেবারেই হয় না। এক্ষেত্রে রোগা ইনসুলিন ছাড়া বাঁচে না।
(২) টাইপ 2:
এখানে ইনসুলিন-এর মাত্রা একই রকম থাকে অথবা সামান্য কমে যায়। ইনসুলিন পরিমাণ মতো থাকলেও শরীরে ইনসুলিন resistance বা অকার্যকরী হয়।লিভার থেকে গ্লুকোজ উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে এই ধরণের ডায়াবেটিস হয়।
• সুগারের চিকিৎসা কীভাবে করা উচিৎ?
(১) ইনসুলিন বাইরের থেকে শরীরে প্রবেশ করিয়ে
(২) খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করে ব্যায়াম, হাঁটা বা মেডিসিন প্রয়োগের মাধ্যমে ইনসুলিন resistance কমানো ও লিভার থেকে গ্লুকোজ উৎপাদন কমানোর মাধ্যমে আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন (ADA) অনুযায়ী রোগটিকে কখন ডায়াবেটিস বলা হয় তা হল-
(১) ফাস্টিং (Fasting) গ্লুকোজ: যদি 126 mg/dl এর বেশি হয়
(২) (Post Parendial) খাওয়ার দুই ঘন্টা পর যদি গ্লুকোজ 200 mg/dl এর বেশি হয়।
ডায়াবেটিস-এর উপসর্গ বা লক্ষণগুলি কী কী?
(১) ঘন ঘন ক্ষিদে পাওয়া
(২) ঘন ঘন জল পিপাসা পাওয়া
(৩) ঘন ঘন প্রস্রাব যাওয়া
(৪) শরীরের ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি
ডায়াবেটিস-এর ডায়াগনসিস (Diagnosis of Diabetes)
(১) ডায়াবেটিসের উপসর্গ বা লক্ষণ এবং তার সঙ্গে যদি কোনোও সময় glucometer বা ভেন থেকে রক্ত নিয়ে ব্লাডসুগার টেস্ট করলে সুগারের মাত্রা > 200 mg/dl হয়।
(২) Fasting গ্লুকোজ > 126 mg% এর বেশি হয়।
(৩) গ্লাইকোসাইলেটেড Hb > 6.5% হয়।
(8) PP (Post Parendia) Glucose যদি > 200 mg% হয়।
কত বছর বয়স থেকে রক্তে সুগার দেখা উচিত? যাদের বয়স ৪৫-এর বেশি, প্রতি তিন বছর অন্তর রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করা উচিত। যাদের শরীরের ওজন তুলনামূলকভাবে বেশি, তাদের আরও কম বয়স থেকে সুগার দেখা উচিত।
ডায়াবেটিস কাদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি? T2 DM
(১) সাধারণত যাদের পরিবারের মা, বাবা, ভাই, বোন-এর সুগার থাকে।
(২) যাদের শরীরের ওজন বেশি BMI > 25 Kg
(৩) যে সকল মেয়েদের মাতৃত্বকালীন অবস্থায়। সুগার বেশি থাকে তাদের ডায়াবেটিস-এর সম্ভাবনা বেশি।
(৪) যাদের ব্লাড প্রেসার বেশি থাকে > 140/90
(৫) যাদের রক্তে কোলেস্টেরল, HDL < 35mg/dl কম, TG (ট্রাইগ্লিসারাইড) > 250 mg/dl
(৬) যাদের ওভারি (Overy)-তে সিস্ট থাকে (Poly cystic diseases)।
(৭) যাদের হাইপো থাইরয়েড থাকে।
সৌজন্যে: বেল ভিউ ডঃ অরবিন্দ বেরা।