গলায় এই অবাক করা মালা পড়ে অভিনব প্রতিবাদ মধ্যপ্রদেশে! স্তম্ভিত নাগরিক মহল
মুকেশর এই অভিনব প্রতিবাদে টনক নড়েছে সরকারের। গলায় ‘অভিযোগের মালা’ পরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ! জেলা প্রশাসনিক দপ্তরে ঢুকে হামাগুড়িও দিলেন ওই ব্যক্তি। সকলেই তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বিস্তারিত সবটা বলেন।
একটা সময় আসে যখন সর্বত্র মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে। এই ঘটনাটি অবশ্য বাংলায় নয়, মধ্যপ্রদেশে(Madhya Pradesh)। তবে আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে গ্রামের এক গরিব মানুষের এই প্রতিবাদ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। মধ্যপ্রদেশে নিমুচ জেলার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মুখ পুড়েছে সরকার ও প্রশাসনের। চাপে পড়ে অভিনব প্রতিবাদের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন নিমুচের মহকুমা শাসক। কেন এমন প্রতিবাদ?
ওই ব্যক্তির নাম মুকেশ প্রজাপতি। তিনি কাঙ্করিয়া গ্রামের বাসিন্দা। গ্রামের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে একাধিকবার জেলাশাসকের দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। ছয় বছর পরেও প্রধানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি। এর পরেই অভিনব প্রতিবাদের পরিকল্পনা করেন মুকেশ।
মুকেশর এই অভিনব প্রতিবাদে টনক নড়েছে সরকারের। গলায় ‘অভিযোগের মালা’ পরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ! জেলা প্রশাসনিক দপ্তরে ঢুকে হামাগুড়িও দিলেন ওই ব্যক্তি। সকলেই তার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কাঁদতে কাঁদতে বিস্তারিত সবটা বলেন। তিনি দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে নথিপত্র জমা দিয়েছিলেন সরকারি দপ্তরে। তার মালা পরে এদিন হাজির হন জেলা প্রশাসনের দপ্তরে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, গলায় এবং গায়ে নথির মালা জড়িয়ে গড়াগড়ি দিতে দিতে দপ্তরে ঢুকছেন ওই মুকেশ। উপস্থিত জনতা অবাক হয়ে দেখছেন এই নয়া ‘প্রতিবাদ’! কেউ কেউ আবার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেও রাখছেন। এই বিষয়ে নিমুচের মহকুমা শাসক মমতা খেড়ে বলেন, ‘‘মুকেশবাবু গ্রামের মোড়লের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চান। আগেও বহু বার অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।"শেষে জেলা শাসক বিষয়টি খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন।