এবার মহালয়াতে তর্পনের জন্য গঙ্গাঘাটে বিশাল মানুষের ঢল! ঘাট নিরাপত্তাতে রয়েছে পুলিশ
ভোর থেকেই তর্পণের জন্য অগণিত মানুষ ভিড় জমান গঙ্গার ঘাটগুলিতে। রামকৃষ্ণপুর ঘাট, শিবপুর ঘাট, বাঁধাঘাট, তেলকল ঘাট সহ বালি বেলুড়ের বিভিন্ন ঘাটেও তর্পণের জন্য ভোর থেকেই মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। রীতি মেনে সকলেই মহালয়ার ভোরে পিতৃপুরুষকে তর্পণ করার জন্য হাজির হন গঙ্গার ঘাটে।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার, ৩রা অক্টোবর: বুধবার দিন মহালয় বোর্ড থেকে তপন চলছে হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে। তবে পিতৃপক্ষের অবসান। আর দেবীপক্ষের সূচনা। এদিন বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই ভোর থেকে হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে চলে পিতৃতর্পণ। বহু মানুষের সমাগম হয় সেখানে। ছাতা মাথায় নিয়েই ঘাটে ঘাটে মহালয়ার তর্পণে সামিল হন মানুষ।
প্রশাসনের তরফ থেকে ঘাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। ঘাটে দুর্ঘটনা এড়াতে চলে ক্রমাগত মাইকিং। পুলিশের ক্যাম্প খোলা হয়। এদিন মহালয়া উপলক্ষে হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। জলপথে স্পিডবোটে চলে নজরদারি। সকালে ঘাট পরিদর্শন করেন হাওড়ার নগরপাল প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী সহ পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
ভোর থেকেই তর্পণের জন্য অগণিত মানুষ ভিড় জমান গঙ্গার ঘাটগুলিতে। রামকৃষ্ণপুর ঘাট, শিবপুর ঘাট, বাঁধাঘাট, তেলকল ঘাট সহ বালি বেলুড়ের বিভিন্ন ঘাটেও তর্পণের জন্য ভোর থেকেই মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। রীতি মেনে সকলেই মহালয়ার ভোরে পিতৃপুরুষকে তর্পণ করার জন্য হাজির হন গঙ্গার ঘাটে। গঙ্গার ঘাটগুলিতে কলকাতা রিভার ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে এদিন অতিরিক্ত নজরদারি রাখা হয়। যাতে না কোনও দুর্ঘটনা ঘটে সেই কারণে পুলিশের তরফ থেকে সবরকম নিরাপত্তা নেওয়া হয়। পুলিশের তরফ থেকে এদিন ড্রোনের ব্যবহার করা হয়। গঙ্গায় তর্পণ করতে আসা প্রদীপ দাস বলেন, মহালয়া মানে পিতৃপক্ষের শেষ। এই দিনে পিতৃপুরুষেরা জল গ্রহণ করেন। সেই কারণেই এদিন পিতৃপুরুষকে জল দিতে এসেছি। অন্যান্যবারের মতোই এদিনও গঙ্গার ঘাটে ভিড় হয়েছে।