নকল ওষুধের হাত থেকে বাঁচার জন্য ওষুধ কেনার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন! কাজে লাগবে আপনারই
আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই। বেশীরভাগই ভুগছেন জ্বরে। এমনকি যে জ্বর দুই-তিন দিনে সেরে যায়, তা কমতে 8 থেকে 10 দিন সময় লেগে যাচ্ছে। জ্বর কমার পর অনেকের হাতে-পায়ে ব্যথা এবং কাশির মত সমস্যা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,ওষুধের নিম্নমানের কারণেই এই বিপত্তি।
আজ এখন ডেস্ক, 21 অক্টোবর: আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে কেউ না কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই। বেশীরভাগই ভুগছেন জ্বরে। এমনকি যে জ্বর দুই-তিন দিনে সেরে যায়, তা কমতে 8 থেকে 10 দিন সময় লেগে যাচ্ছে। জ্বর কমার পর অনেকের হাতে-পায়ে ব্যথা এবং কাশির মত সমস্যা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,ওষুধের নিম্নমানের কারণেই এই বিপত্তি।
আসলে বাজারে প্রচুর পরিমাণে নকল ওষুধ পাওয়া যায়। এসব ওষুধ সেবনের কারণে সুস্থ হচ্ছে না রোগীরা কিংবা তাদের সুস্থ হতে বেশি সময় লাগছে। একই সঙ্গে নকল ওষুধ ব্যবহারে রোগীর অন্যান্য রোগও হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় বাজার থেকে কেনা ওষুধের ব্যবহার খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে রোগীদের জন্য।
সম্প্রতি অনেক ওষুধ নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তালিকায় রয়েছে জ্বর কমানোর ওষুধ প্যারাসিটামলও। 50 টিরও বেশি ওষুধের গুণমান পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)। জ্বর ছাড়াও এই তালিকায় রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ভিটামিনের কিছু ওষুধ রয়েছে। এই ওষুধগুলিকে স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।
আজকাল বাজারে প্রচুর নকল ওষুধ ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নকল ওষুধ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বাজারের প্রায় 25 শতাংশ ওষুধই নকল। এসব ওষুধ অজানা কোনো কোম্পানি তৈরি করে এবং বিখ্যাত কোম্পানির নকল লেবেল লাগিয়ে বাজারে বিক্রি করে। ট্যাবলেটের নামে প্যাকেটে চক পাউডার বিক্রি করে বলেও অনেক গণমাধ্যমের খবরে দেখা গিয়েছে।
নকল ওষুধের হাত থেকে বাঁচার জন্য ওষুধ কেনার সময় এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন:
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ খাবেন না।
বিশ্বস্ত এবং সুপরিচিত ব্র্যান্ডের মেডিক্যাল স্টোর থেকে ওষুধ কিনুন।
ওষুধ খাওয়ার পর কম্পিউটারাইজড বিল নিতে ভুলবেন না।
ওষুধ খাওয়ার সময়, এর প্যাকিং সঠিকভাবে পরীক্ষা করুন। প্যাকিং ঠিক না হলে ওই ওষুধ খাবেন না।
আপনি যে ওষুধটি কিনছেন তার বানান পরীক্ষা করুন। নামের বানান পরিবর্তন করে নকল কোম্পানিগুলো নামকরা কোম্পানির নামেও বিক্রি করে। আপনি সঠিক বানান পরীক্ষা করতে গুগলের সাহায্য নিতে পারেন।