ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্লু- টুথ থেকে উধাও ফিঙ্গার প্রিন্ট

আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে মোড়-ঘোরানো চঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্লু- টুথ থেকে ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট সব উধাও। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই এ প্রস্ন উঠছে, কীভাবে উধাও হল হাতের ছাপ তা নিয়েই। প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলঘরে উদ্ধার হয় এক জুনিয়র চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত-রক্তাক্ত মৃতদেহ।

ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্লু- টুথ থেকে উধাও ফিঙ্গার প্রিন্ট

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকর, ৯ সেপ্টেম্বর:

 আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে মোড়-ঘোরানো চঞ্চল্যকর তথ্য সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই সূত্রে দাবি, ঘটনাস্থল থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্লু- টুথ থেকে ফ্রিঙ্গার প্রিন্ট সব উধাও। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই এ প্রস্ন উঠছে, কীভাবে উধাও হল হাতের ছাপ তা নিয়েই। প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার হলঘরে উদ্ধার হয় এক জুনিয়র চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত-রক্তাক্ত মৃতদেহ। সেই নারকীয় ঘটনার পর কলকাতায়, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে তোলপাড়! চিকিৎসক-সহ সমাজের সর্বশ্রেণির মানুষের দাবি একটাই, ‘বিচার চাই’! ঘটনার পর থেকে সমাজের নানা মহল থেকে দাবি উঠেছে, বহু প্রমাণ লোপাট হয়েছে। যদিও  পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে কোনও প্রমাণ নষ্ট হয়নি। এদিকে ডিসি (সেন্ট্রাল) জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সকাল ১০.১০ মিনিটে প্রথমবার ঘটনার খবর পায় পুলিশ। সকাল ১০.১২ মিনিটে হাসপাতালের আউটপোস্ট থেকেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশকর্মীরা৷ সকাল সাড়ে দশটায় মৃতদেহের পাশে দ্বিতীয় কর্ডন বা ঘেরাটোপ তৈরি করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে৷

পুলিশের দাবি, প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মৃতদেহ ঘিরে রাখার ব্যবস্থা করেছিল৷ নির্যাতিতার মৃতদেহের পাশ থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছিল কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস আর এবার সেখানেই উঠে গেছে বড় এই প্রশ্ন। ফরেন্সিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ, মোবাইল বা ব্রু-টুথে কোন-ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নেই। তাহলে এটাও স্পষ্ট যে, খুনের পর কেউ বা কারা এই সমস্ত ডিভাইস থেকে হাতের ছাপ মুছে ফেলেছিল যাতে ব্যবহারকারী বা অন্য কারো হাতের ছাপ না মেলে। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে কয়েকজনের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে।