ভারতীয় সিনেবাজারে ধস! পাইরেসি চলতে থাকলে পাততাড়ি গোটাতে হবে প্রযোজকদের

আগে যে পাইরেসি সিনেমা দুনিয়াতে ছিল না বা হত না এমনটা নয়। তবে কোভিড এর পর থেকেই দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহমুখো হওয়ায় 'অ্যালার্জি'! তারা এখন ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের সিরিজ এবং সিনেমা সবকিছু অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেখতে পায়।

ভারতীয় সিনেবাজারে ধস! পাইরেসি চলতে থাকলে পাততাড়ি গোটাতে হবে প্রযোজকদের

আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,২৭ অক্টোবর: আগে যে পাইরেসি সিনেমা দুনিয়াতে ছিল না বা হত না এমনটা নয়। তবে কোভিড এর পর থেকেই দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহমুখো হওয়ায় 'অ্যালার্জি'! তারা এখন ঘরে বসে বিভিন্ন ধরনের সিরিজ এবং সিনেমা সবকিছু অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে দেখতে পায়। যাতে করে হলে যাওয়া, টিকিট, পপকর্নের খরচ সবকিছুই বাচে। তার ফলে বিগত চার বছর ধরে সিনেমা হলের মালিকদের অনেকাংশ লোকসান হয়েছে। তবে কি এই একটাই কারণ সিনেবাজার কমে আসার? এই বিষয় নিয়ে এক সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।

২০২৩ সালে পাইরেসির ভয়ানক বাড়বাড়ন্তের জন্য ভারতীয় সিনেবাজারে ২২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। EY-এর দ্য রব রিপোর্ট এবং দ্য ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (IAMAI) রিপোর্টের তথ্য মানলে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড় হবে! যে বাজেটে অন্তত ১০০ টি বিগ বাজেট সিনেমা তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা। ভারতের ৫১ শতাংশ মানুষ পাইরেটেড জায়গা থেকে সিনেমা, সিরিজ দেখেন। এই তালিকায় পাইরেটেড সিনেমার থেকে সিরিজের পরিমাণই বেশি। এর মধ্যে আবার ৬৩ শতাংশে জড়িত স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলো। তাঁদের সমীক্ষাতে উঠে এসেছে এমনই চমকে দেওয়া তথ্য।

রিপোর্টে উল্লেখ, ২০২৩ সালে ভারতের পাইরেটেড

অর্থনীতি ছিল ২২ হাজার কোটি টাকার উপরে। এর মধ্যে ১৩,৭০০ কোটি টাকা প্রেক্ষাগৃহ থেকে পাইরেটেড হওয়া সিনেমা, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে পাইরেসি হয়েছে ৮,৭০০ কোটি টাকার। অন্যদিকে, ৪,৩০০ কোটি টাকার কর ফাঁকিও রয়েছে। দেখা গিয়েছে, ১৯ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এই পাইরেসি করা এবং পাইরেটেড মাধ্যম থেকে সিনেমা, সিরিজ নামিয়ে দেখার প্রবণতা বেশি। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে দ্য ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রোহিত জৈনের মন্তব্য, "পাইরেসির এই বাড়বাড়ন্ত খুব শিগগিরি বন্ধ করা দরকার। এই সমস্যা মোকাবিলায় সমস্ত স্টেক হোল্ডার, সরকারি সংস্থা এবং উপভোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। নইলে সমূহ বিপদ!"