জয়নগরে পুলিশকে ঝাঁটাপেটা! এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ
জয়নগরের মহিষমারিতে এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে তাকে খুন করা হয় এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন। এবং সেখানকার পুলিশি ব্যবস্থা খুবই খারাপ থাকার অভিযোগ এসেছে। এখানকার স্থানীয়রা পুলিশকে ঝাঁটা হাতে ধাওয়া করেন।
আজ এখন ডেস্ক, দেবপ্রিয়া কর্মকার,৫ অক্টোবর: জয়নগরের মহিষমারিতে এক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে তাকে খুন করা হয় এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন। এবং সেখানকার পুলিশি ব্যবস্থা খুবই খারাপ থাকার অভিযোগ এসেছে। এখানকার স্থানীয়রা পুলিশকে ঝাঁটা হাতে ধাওয়া করেন। পুলিশ ফাঁড়ি এবং অভিযুক্তের বাড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। এলাকায় দফায় দফায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা।
ওই পড়ুয়ানিহত জয়নগরের মহিষমারির কৃপাখালি এলাকার বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে টিউশন থেকে বেরিয়েছিল। এবং যখন তার বাড়ির লোক দেখে সন্ধ্যা থেকে রাত হয়ে যাওয়ার পরও সে বাড়ি ফিরছে না তাতে সবাই দুশ্চিন্তা করতে থাকে। এবং কিছুক্ষণ পর তার বাবা জয়নগরের থানায় যায়। এবং অভিযোগ আসে, সেই সময় তাঁদের থেকে নিখোঁজ অভিযোগ নিতে কার্যত অস্বীকার করে পুলিশ। তারপর ছাত্রীর বাবা থানা থেকে ফিরে আসে। এবং বাড়ির থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে গভীর রাতেএকটি জলাজমি থেকে ছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় তার দেহে একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায় বলেই অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে।
এই খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে যায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করে। ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পুলিশ আরও আগে তৎপর হলে স্কুলছাত্রী খুন হত না বলেই দাবি এলাকাবাসীর। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তেজিত স্থানীয়রা। ঝাঁটা হাতে পুলিশকে ধাওয়া করেন মহিলারা। একপ্রস্থ ঝাঁটাপেটাও করা হয় পুলিশকে। বারুইপুরের এসডিপিও-কে লাঠি হাতে ধাওয়া করেন মহিলারা। জয়নগরের মহিষমারি ফাঁড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। ফাঁড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেন স্থানীয়রা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। রাস্তায় জায়গায় জায়গায় বাঁশ ফেলে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তাকিন সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। আপাতত উত্তপ্ত গোটা এলাকা। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ।