বিএমডব্লু চেপে খাবার বিক্রি? কোটিপতি দইবড়া বিক্রেতাকে চেনেন?
শুধু মাত্র দইবড়া বিক্রি (yogurt seller) করে দিল্লির মতো শহরের বুকে গাড়ি বাড়ি করেছেন এই দইবড়া বিক্রেতা। আজ তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। অবাক করা হলেও এটাই সত্যি। বর্তমানে ওই দইবড়া বিক্রেতার প্রাচুর্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বিএমডাব্লিউ চেপে তিনি এখন দইবড়া বিক্রি করছেন। এক কথায় বলা যায় তিনি একজন কোটিপতি দইবড়া বিক্রেতা। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন মুকেশ কুমার শর্মা। তিনি একজন দইবড়া বিক্রেতা, থুড়ি কোটিপতি দইবড়া বিক্রেতা।
আজ এখন ডেস্ক, পুস্পিতা বড়াল, 26 সেপ্টেম্বর: শুধু মাত্র দইবড়া বিক্রি (yogurt seller) করে দিল্লির মতো শহরের বুকে গাড়ি বাড়ি করেছেন এই দইবড়া বিক্রেতা। আজ তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক। অবাক করা হলেও এটাই সত্যি। বর্তমানে ওই দইবড়া বিক্রেতার প্রাচুর্য এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বিএমডাব্লিউ চেপে তিনি এখন দইবড়া বিক্রি করছেন। এক কথায় বলা যায় তিনি একজন কোটিপতি দইবড়া বিক্রেতা। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার সেনসেশন মুকেশ কুমার শর্মা। তিনি একজন দইবড়া বিক্রেতা, থুড়ি কোটিপতি দইবড়া বিক্রেতা।
দিল্লির নেহেরু প্যালেস এ গিয়ে, ঠিক বিকেল চারটে নাগাদ গেলেই দেখা মিলবে এই ব্যক্তির। যা চকচকে bmw থেকে বেরিয়ে এসে ধোপদুরস্ত পোশাক আর পালিশ করা জুতো পরে যে মানুষটিকে ফুটপাতে টেবিল চেয়ার পেতে বসে দইবড়ার স্টল দিতে দেখবেন, তিনিই আসলে শর্মাজি। বলা ভালো কোটিপতি দইবড়া বিক্রেতা। শুনতে অবাক লাগছে? রাস্তার ধারে আর পাঁচটা ‘স্ট্রিট ফুড বিক্রেতার সঙ্গে তাঁর খুব একটা মিল পাবেন না দিল্লির মুকেশ কুমার শর্মা বা শর্মাজির। ভ
ভাবতে অবাক লাগছে? রাস্তার ধারে যাঁরা দইবড়া বা এই ধরনের ’ বিক্রি করেন, তাঁদের সঙ্গে মিল পাওয়া যাবে না দিল্লির মুকেশকুমার শর্মার। প্রতিদিন একই সময় তিনি দিল্লির নেহেরুর প্যালেসের ফুটপাত সংলগ্ন এলাকায় আসেন bmw চেপে। কয়েক ঘন্টার জন্য দইবড়ার দোকান খুলে বসেন। আর নিমেষের মধ্যে প্রচুর ভিড় জমে যায় তার দোকানের সামনে। কয়েক ঘন্টা দইবড়া বিক্রি করে আবারো bmw গাড়ি চেপে বাড়ি চলে যান শর্মাজি।
ওই এলাকায় তো আরো অনেক স্ট্রিট ফুডের স্টল রয়েছে, তাহলে কি এমন বিশেষত্ব রয়েছে এই কোটিপতি দইবড়া ওয়ালার? আসলে পুরোটাই নির্ভর করে খাবারের কোয়ালিটির ওপর। খবরে কোন এক জাদু মসলা ব্যবহার করে থাকেন শর্মাজি। সেই মসলা আবার নাকি বাড়িতেই তৈরি করেন তিনি। নেহরু প্যালেসে গিয়েছেন আর সেখানে দাঁড়িয়ে শর্মাজির দইবড়া খাননি এমন দিল্লিবাসী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ১৯৮৯ সাল থেকে দইবড়া বিক্রি করছেন শর্মা জি।
দিল্লির বাসিন্দাদের মতে, ওই কোটিপতি দইবড়া বিক্রেতা যে খাবার বিক্রি করেন তার স্বাদ এতটাই অসাধারণ যে, সহজে ভোলা যায়না। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে। একটি প্লেটের একটি বড়া দিয়ে তার ওপর টক-মিষ্টি ঠান্ডা দই ছড়িয়ে দেন শর্মা জি। তারপর একটি চামচ দিয়ে কয়েক টুকরো করে দেন সেটি। মিষ্টি চাটনি, মশলা, পাপড়ি এবং ঝুরিভাজা ছড়িয়ে পরিবেশন করেন।
তবে এই দইবড়া কোটিপতি দইবড়া বিক্রেতা কোটিপতি হলেও তাঁর খাবারের দাম প্রতি প্লেটে মাত্র ৪০ টাকা। একটি প্লেটে একটিই বড়া এমন সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন খুব কম দেখা যায়। শুধুমাত্র এই দইবড়া বিক্রি করেই কোটি কোটি টাকার মালিক এই ব্যক্তি। বাড়িতে তৈরি বিশেষ মসলার গুনে তাঁর এই নামডাক। নিজে তেমনটাই দাবি করেন শর্মা জি।