সুরুল জমিদার বাড়ির পুজো: ঐতিহ্যের হাত ধরে ২৯০ বছরের প্রাচীন উৎসব
সুরুল জমিদার বাড়ির ইতিহাস বিশাল এবং জমিদারত্বের পরম্পরা এখানে আজও জীবন্ত। ভরতচন্দ্র ঘোষ প্রথমে বর্ধমান জেলার নীলপুর গ্রাম থেকে বীরভূমের সুরুল গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন। ব্রিটিশ আমলে তার জমিদারিত্ব প্রতিষ্ঠা পায় এবং তিনি "সরকার" উপাধি পান। জমিদার বাড়ির প্রতিটি সদস্য আজও তাঁকে "প্রাণ পুরুষ" হিসেবে সম্মান করেন।
আজ এখন ডেস্ক, 6 অক্টোবর: পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের সুরুল গ্রাম, যেখানে প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে আছে ইতিহাসের ছোঁয়া। এই গ্রামের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব হল সুরুল জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। ২৯০ বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে এই পুজো, যার সূচনা করেছিলেন জমিদার ভরতচন্দ্র ঘোষের পুত্র কৃষ্ণহরি সরকার। জমিদার বাড়ির এই পুজো এখনও পর্যন্ত বৈষ্ণব মতে সম্পন্ন হয়, তবে রয়েছে বলি প্রথা এবং ৩০০ বছরের পুরনো গহনায় দেবীকে সাজানোর ঐতিহ্য।
সুরুল জমিদার বাড়ির ইতিহাস বিশাল এবং জমিদারত্বের পরম্পরা এখানে আজও জীবন্ত। ভরতচন্দ্র ঘোষ প্রথমে বর্ধমান জেলার নীলপুর গ্রাম থেকে বীরভূমের সুরুল গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন। ব্রিটিশ আমলে তার জমিদারিত্ব প্রতিষ্ঠা পায় এবং তিনি "সরকার" উপাধি পান। জমিদার বাড়ির প্রতিটি সদস্য আজও তাঁকে "প্রাণ পুরুষ" হিসেবে সম্মান করেন।
কৃষ্ণহরি সরকার, ভরতচন্দ্র ঘোষের পুত্র, জমিদার বাড়ির অন্দরে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। সেই সময় মাটির তৈরি মন্দিরে এই পুজো হত। পরবর্তী সময়ে, কংক্রিটের মন্দির ও সুসজ্জিত নাটমন্দির নির্মাণ করা হয়। জমিদার পরিবারের ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিফলন এই পুজোতেই প্রতিফলিত হয়। জমিদার বাড়ির পুজোকে ঘিরে প্রতি বছর ব্যাপক প্রস্তুতি চলে, এবং পরিবারের সকল সদস্য চারদিনের এই পুজোতে একত্রিত হন।
দুটি পৃথক পুজো: একই ঐতিহ্য, একই শিকড়
প্রায় ১২৮ বছর আগে জমিদার পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদের কারণে একই জমিদারবাড়ির কাছে আরও একটি পুজোর সূচনা হয়। এই নতুন পুজো পরিচিতি পায় "সুরুল ছোট বাড়ির পুজো" নামে। যদিও পুজোর দুটি ধারা আলাদা, কিন্তু মূল ঐতিহ্য এবং প্রথা আজও অভিন্ন। দুটি পুজোতেই একই ধরনের প্রতিমা নির্মাণ করা হয় এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, প্রতিমার মুখ ছাঁচে নয়, হাতে বানানো হয়।
সুরুল জমিদার বাড়ির পুজোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিমা নির্মাণের ধারা। বিগত চার পুরুষ ধরে বীরভূমের খয়রাশোলের বাসিন্দা সুভাষ সূত্রধর ও তাঁর পরিবার এই প্রতিমা নির্মাণ করে আসছেন। প্রতিমার মুখ নির্মাণের ক্ষেত্রে তারা ছাঁচের ব্যবহার থেকে দূরে থেকে সম্পূর্ণ হাতে তৈরি করে থাকেন। প্রতিমার চালচিত্রও হাতে আঁকা হয়, যা অন্যান্য পুজো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সূত্রধর পরিবারের চার পুরুষ ধরে এই বিশেষ ক্ষমতা ও শিল্পশৈলী ধরে রেখেছেন, যা সুরুল জমিদার বাড়ির পুজোর একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে।
সুভাষ সূত্রধর বলেন, "আমরা চার পুরুষ ধরে সুরুল জমিদার ছোট বাড়ি ও বড় বাড়ির প্রতিমা নির্মাণ করে আসছি। এখানে প্রতিমার মুখ ছাঁচে নয়, হাতে বানাতে হয়। এমনকি, চালচিত্রও হাতে আঁকতে হয়। অন্যান্য পুজোর চেয়ে এটি সম্পূর্ণ আলাদা।"
জমিদার বাড়ির পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হল প্রতিমাকে ৩০০ বছরের পুরনো গহনায় সাজানো। এই গহনাগুলি জমিদার পরিবারের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে প্রতিমাকে সাজানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। জমিদার বাড়ির সদস্যরা এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন এবং প্রতিবার এই গহনাগুলি দিয়ে প্রতিমাকে সাজানো হয়।
পুজোতে বলি প্রথা এখনও পর্যন্ত বিদ্যমান। বলি দেওয়া হয় চালকুমড়ো, আখ, ও ছাগল। যদিও বৈষ্ণব মতে পুজো হয়, কিন্তু এই বলি প্রথা বহু শতাব্দী পুরনো একটি ঐতিহ্য হিসেবে টিকে আছে। জমিদার বাড়ির মন্দিরে মাটির প্রতিস্থাপন হিসেবে বর্তমানে কংক্রিটের মন্দির তৈরি হয়েছে, তবে বলি ও অন্যান্য প্রথা আজও অটুট রয়েছে।
সুরুল জমিদার বাড়ির পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হলো বিশাল জমিদারবাড়ি এবং তার সজ্জা। ঐতিহ্যবাহী বড় বড় থাম, জানালা-দরজা, এবং সিংহদুয়ার—প্রতিটি অংশই জমিদারী প্রথার প্রতিফলন। পুজোর সময় পুরো জমিদার বাড়ি সজ্জিত হয় পুরনো ঝাড়বাতি দিয়ে, যেগুলি বেলজিয়াম থেকে আনা হয়েছিল। জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যের অন্যতম নিদর্শন এই ঝাড়বাতি এবং তার দীপ্তিময় আলোকছটা।
জমিদার বাড়ির পুজোর এই সজ্জা যেমন অতীতের ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, তেমনই তা প্রতিবার পুজোকে আরও আলোকিত করে তোলে। বেলজিয়ামের ঝাড়বাতির ঝলকানি পুরো মণ্ডপকে এক অন্য রকমের আভিজাত্য দেয়।
জমিদার বাড়ির পুজোর প্রথা আজও অটুট রয়েছে। শরদিন্দু সরকার, সুরুল সরকার বাড়ির বর্তমান সদস্যদের একজন, বলেন, "আমাদের পুজো বৈষ্ণব মতে হয়, কিন্তু বলি প্রথা এখনো মানা হয়। পুজোর সময়ে সরকার পরিবারের সকলেই একত্রিত হন। আমাদের পুজোর প্রথা প্রথম দিন থেকে আজও একই রয়ে গেছে।"
সরকার পরিবারের পুজোতে প্রতিটি সদস্যের অংশগ্রহণ, তাদের ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান, এবং পুজোর প্রতিটি দিনের বিশেষ তাৎপর্য আজও প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে বজায় আছে। পরিবার যেখানে থাকুক, পুজোর এই চারদিনে তারা জমিদার বাড়িতে এসে একত্রিত হন এবং পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সুরুল জমিদার বাড়ির পুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারাবাহিক প্রকাশ। ২৯০ বছরের পুরনো এই পুজো জমিদার বাড়ির ইতিহাসের পাশাপাশি বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও অন্যতম দৃষ্টান্ত। প্রতিমা নির্মাণের প্রথা, পুরনো গহনায় প্রতিমাকে সাজানো, এবং বলি প্রথার মাধ্যমে এই পুজো আজও সেই জমিদারী প্রথার স্বাক্ষী হয়ে আছে।
জমিদার বাড়ির বিশাল অট্টালিকা, বেলজিয়ামের ঝাড়বাতির আলোয় আলোকিত মণ্ডপ, এবং পরিবারের ঐক্যবদ্ধতা এই পুজোকে আরও আলাদা করে তুলেছে। শতাব্দীপ্রাচীন এই পুজো কেবল একটি প্রথা নয়, এটি অতীতের সঙ্গে বর্তমানের যোগসূত্র, যা আজও বাঙালির হৃদয়ে গভীরভাবে বিরাজ করছে।সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়: পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার বোলপুর শহরের সুরুল গ্রাম, যেখানে প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে আছে ইতিহাসের ছোঁয়া। এই গ্রামের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব হল সুরুল জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো। ২৯০ বছর ধরে পালিত হয়ে আসছে এই পুজো, যার সূচনা করেছিলেন জমিদার ভরতচন্দ্র ঘোষের পুত্র কৃষ্ণহরি সরকার। জমিদার বাড়ির এই পুজো এখনও পর্যন্ত বৈষ্ণব মতে সম্পন্ন হয়, তবে রয়েছে বলি প্রথা এবং ৩০০ বছরের পুরনো গহনায় দেবীকে সাজানোর ঐতিহ্য।
সুরুল জমিদার বাড়ির ইতিহাস বিশাল এবং জমিদারত্বের পরম্পরা এখানে আজও জীবন্ত। ভরতচন্দ্র ঘোষ প্রথমে বর্ধমান জেলার নীলপুর গ্রাম থেকে বীরভূমের সুরুল গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন। ব্রিটিশ আমলে তার জমিদারিত্ব প্রতিষ্ঠা পায় এবং তিনি "সরকার" উপাধি পান। জমিদার বাড়ির প্রতিটি সদস্য আজও তাঁকে "প্রাণ পুরুষ" হিসেবে সম্মান করেন।
কৃষ্ণহরি সরকার, ভরতচন্দ্র ঘোষের পুত্র, জমিদার বাড়ির অন্দরে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন। সেই সময় মাটির তৈরি মন্দিরে এই পুজো হত। পরবর্তী সময়ে, কংক্রিটের মন্দির ও সুসজ্জিত নাটমন্দির নির্মাণ করা হয়। জমিদার পরিবারের ঐতিহ্য এবং সমৃদ্ধ ইতিহাসের প্রতিফলন এই পুজোতেই প্রতিফলিত হয়। জমিদার বাড়ির পুজোকে ঘিরে প্রতি বছর ব্যাপক প্রস্তুতি চলে, এবং পরিবারের সকল সদস্য চারদিনের এই পুজোতে একত্রিত হন।
দুটি পৃথক পুজো: একই ঐতিহ্য, একই শিকড়
প্রায় ১২৮ বছর আগে জমিদার পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদের কারণে একই জমিদারবাড়ির কাছে আরও একটি পুজোর সূচনা হয়। এই নতুন পুজো পরিচিতি পায় "সুরুল ছোট বাড়ির পুজো" নামে। যদিও পুজোর দুটি ধারা আলাদা, কিন্তু মূল ঐতিহ্য এবং প্রথা আজও অভিন্ন। দুটি পুজোতেই একই ধরনের প্রতিমা নির্মাণ করা হয় এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, প্রতিমার মুখ ছাঁচে নয়, হাতে বানানো হয়।
সুরুল জমিদার বাড়ির পুজোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিমা নির্মাণের ধারা। বিগত চার পুরুষ ধরে বীরভূমের খয়রাশোলের বাসিন্দা সুভাষ সূত্রধর ও তাঁর পরিবার এই প্রতিমা নির্মাণ করে আসছেন। প্রতিমার মুখ নির্মাণের ক্ষেত্রে তারা ছাঁচের ব্যবহার থেকে দূরে থেকে সম্পূর্ণ হাতে তৈরি করে থাকেন। প্রতিমার চালচিত্রও হাতে আঁকা হয়, যা অন্যান্য পুজো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সূত্রধর পরিবারের চার পুরুষ ধরে এই বিশেষ ক্ষমতা ও শিল্পশৈলী ধরে রেখেছেন, যা সুরুল জমিদার বাড়ির পুজোর একটি আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছে।
সুভাষ সূত্রধর বলেন, "আমরা চার পুরুষ ধরে সুরুল জমিদার ছোট বাড়ি ও বড় বাড়ির প্রতিমা নির্মাণ করে আসছি। এখানে প্রতিমার মুখ ছাঁচে নয়, হাতে বানাতে হয়। এমনকি, চালচিত্রও হাতে আঁকতে হয়। অন্যান্য পুজোর চেয়ে এটি সম্পূর্ণ আলাদা।"
জমিদার বাড়ির পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হল প্রতিমাকে ৩০০ বছরের পুরনো গহনায় সাজানো। এই গহনাগুলি জমিদার পরিবারের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে প্রতিমাকে সাজানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। জমিদার বাড়ির সদস্যরা এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন এবং প্রতিবার এই গহনাগুলি দিয়ে প্রতিমাকে সাজানো হয়।
পুজোতে বলি প্রথা এখনও পর্যন্ত বিদ্যমান। বলি দেওয়া হয় চালকুমড়ো, আখ, ও ছাগল। যদিও বৈষ্ণব মতে পুজো হয়, কিন্তু এই বলি প্রথা বহু শতাব্দী পুরনো একটি ঐতিহ্য হিসেবে টিকে আছে। জমিদার বাড়ির মন্দিরে মাটির প্রতিস্থাপন হিসেবে বর্তমানে কংক্রিটের মন্দির তৈরি হয়েছে, তবে বলি ও অন্যান্য প্রথা আজও অটুট রয়েছে।
সুরুল জমিদার বাড়ির পুজোর অন্যতম আকর্ষণ হলো বিশাল জমিদারবাড়ি এবং তার সজ্জা। ঐতিহ্যবাহী বড় বড় থাম, জানালা-দরজা, এবং সিংহদুয়ার—প্রতিটি অংশই জমিদারী প্রথার প্রতিফলন। পুজোর সময় পুরো জমিদার বাড়ি সজ্জিত হয় পুরনো ঝাড়বাতি দিয়ে, যেগুলি বেলজিয়াম থেকে আনা হয়েছিল। জমিদার বাড়ির ঐতিহ্য এবং আভিজাত্যের অন্যতম নিদর্শন এই ঝাড়বাতি এবং তার দীপ্তিময় আলোকছটা।
জমিদার বাড়ির পুজোর এই সজ্জা যেমন অতীতের ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, তেমনই তা প্রতিবার পুজোকে আরও আলোকিত করে তোলে। বেলজিয়ামের ঝাড়বাতির ঝলকানি পুরো মণ্ডপকে এক অন্য রকমের আভিজাত্য দেয়।
জমিদার বাড়ির পুজোর প্রথা আজও অটুট রয়েছে। শরদিন্দু সরকার, সুরুল সরকার বাড়ির বর্তমান সদস্যদের একজন, বলেন, "আমাদের পুজো বৈষ্ণব মতে হয়, কিন্তু বলি প্রথা এখনো মানা হয়। পুজোর সময়ে সরকার পরিবারের সকলেই একত্রিত হন। আমাদের পুজোর প্রথা প্রথম দিন থেকে আজও একই রয়ে গেছে।"
সরকার পরিবারের পুজোতে প্রতিটি সদস্যের অংশগ্রহণ, তাদের ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান, এবং পুজোর প্রতিটি দিনের বিশেষ তাৎপর্য আজও প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে বজায় আছে। পরিবার যেখানে থাকুক, পুজোর এই চারদিনে তারা জমিদার বাড়িতে এসে একত্রিত হন এবং পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
সুরুল জমিদার বাড়ির পুজো শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারাবাহিক প্রকাশ। ২৯০ বছরের পুরনো এই পুজো জমিদার বাড়ির ইতিহাসের পাশাপাশি বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও অন্যতম দৃষ্টান্ত। প্রতিমা নির্মাণের প্রথা, পুরনো গহনায় প্রতিমাকে সাজানো, এবং বলি প্রথার মাধ্যমে এই পুজো আজও সেই জমিদারী প্রথার স্বাক্ষী হয়ে আছে।
জমিদার বাড়ির বিশাল অট্টালিকা, বেলজিয়ামের ঝাড়বাতির আলোয় আলোকিত মণ্ডপ, এবং পরিবারের ঐক্যবদ্ধতা এই পুজোকে আরও আলাদা করে তুলেছে। শতাব্দীপ্রাচীন এই পুজো কেবল একটি প্রথা নয়, এটি অতীতের সঙ্গে বর্তমানের যোগসূত্র, যা আজও বাঙালির হৃদয়ে গভীরভাবে বিরাজ করছে।