আপনার সন্তান কি জিনিয়াস? কিভাবে বুঝবেন সে বুদ্ধিমান কিনা? শিশুর মধ্যে এই লক্ষণগুলি কি রয়েছে?
সন্তান জিনিয়াস হলে তার আইকিউ লেভেল যেমন ভালো হয়, তেমনি ভবিষ্যতে এগিয়ে চলার পথ খানিকটা সুগম হয়। কিন্তু সবার পক্ষে সবটা হওয়া তো সম্ভব নয়। তাই প্রথম থেকেই মা-বাবাকে বুঝে নিতে হবে, তাদের ছোট্ট সন্তানটি সত্যিই বুদ্ধিমান কিংবা জিনিয়াস কিনা। সন্তানের মধ্যে যদি কখনো অসাধারনত্ব কিছু প্রত্যক্ষ করেন তাহলে তা সত্যিই খুব ভালো কথা।
প্রতিটি মা-বাবা নিজের সন্তানকে বুদ্ধিমান হিসেবেই দেখতে চান। সন্তান যদি জিনিয়াস হলে তার আইকিউ লেভেল যেমন ভালো হয়, তেমনি ভবিষ্যতে এগিয়ে চলার পথ খানিকটা সুগম হয়। কিন্তু সবার পক্ষে সবটা হওয়া তো সম্ভব নয়। তাই প্রথম থেকেই মা-বাবাকে বুঝে নিতে হবে, তাদের ছোট্ট সন্তানটি সত্যিই বুদ্ধিমান কিংবা জিনিয়াস কিনা। সন্তানের মধ্যে যদি কখনো অসাধারনত্ব কিছু প্রত্যক্ষ করেন তাহলে তা সত্যিই খুব ভালো কথা। আর অসাধারণ কিছু প্রত্যক্ষ না করতে পারলে তাকে বুদ্ধিতে শান দিতে হবে। কিন্তু কিছু শিশুর সহজাত কিছু প্রতিভা থাকে। যা তাকে বাকিদের থেকে খানিকটা অনন্য করে তোলে।
আপনার সন্তানের বিশেষ কিছু গুণ তার জিনিয়াস হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত দেয়। এই গুণগুলি থাকলে বুঝে নিন আপনার সন্তান সত্যিই প্রতিভাবান। এবার দেখে নেওয়া যাক ঠিক কোন কোন গুণের উপর নির্ভর করে একটি শিশুকে জিনিয়াস বা প্রতিভাবান হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে।
পড়াশোনার প্রতি আকর্ষণ সব শিশুর থাকেনা। আপনার বাড়ির শিশুটির যদি পড়াশোনা প্রতি ঝোঁক থাকে তাহলে স্বাভাবিকভাবে সে পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। পড়াশোনা করার ইচ্ছা শিশুর বুদ্ধিমত্তাকে প্রকাশ করে। প্রথাগত শিক্ষা শুরুর আগে শিশুদের খেলার ছলে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করলে তারা যদি আগ্রহ প্রকাশ করে, তাহলে তারা তো জিনিয়াস বটেই।
প্রখর স্মৃতিশক্তি হলেও শিশুদের প্রতিভার একটি অন্যতম লক্ষণ। আপনার সন্তান যদি কোন কিছু দেখে দীর্ঘদিন পরেও তা মনে রাখতে পারে তাহলে সে যে বুদ্ধিমান তা বলাই যায়। প্রখর স্মৃতিশক্তি বুদ্ধিমত্তার এক মাপকাঠি।
কৌতুহলী মন এবং অনুসন্ধিৎসু মনোভাব যেকোনো শিশুকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তোলে। কোন কিছু জানার জন্য যদি আপনার বাড়ির শিশুটি আপনাকে বারবার প্রশ্ন করে বিরক্ত করে, তাহলে সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিন। শিশুর কৌতূহল এবং প্রশ্নকে মূল্য দিন। তার সাথে কথা বলুন। তার মনে থাকা প্রশ্ন নিরসন করার চেষ্টা করুন।
সৃজনশীলতা হলো প্রতিভার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সৃজনশীল চিন্তাভাবনার শিশুরা নিজেদের কল্পনার চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে। তারা চাইলে শিল্পী হয়ে উঠতে পারে। অংকন গান কিংবা লেখালেখির দিকে মনোনিবেশ করতে পারে তারা। শিশুর মধ্যে এই ধরনের কিছু বৈশিষ্ট্য দেখলে তার সৃজনশীলতা বিকাশের সহায়তা করুন।
ছোট থেকেই অনেক শিশু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে ভালোবাসে। শিশু বয়স থেকে এমন অসাধ্য সাধনের মনোভাব তাকে ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের বড় বড় কাজে সাফল্য এনে দেবে। আপনার বাড়ির শিশুটিও যদি চ্যালেঞ্জিং কাজে অংশগ্রহণ করতে পছন্দ করে তাহলে তাকে তা করতে দিন। কারণ সে সত্যিই জিনিয়াস।